সিংহের ভাস্কর্যে চড়ে জরিমানা গুনলেন ২০ লাখ টাকা

0
150

হাতি-ঘোড়ার পিঠে চড়তে ইচ্ছা করে না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। ছোটবেলা, এমনকি বড় হলেও অনেকের এমন ইচ্ছা থাকে। এমনকি সেটা না পারলেও অনেকে দুধের স্বাদ ঘোলে মেটান। ইট-পাথরের তৈরি বাঘ, সিংহ, হাতি ও ঘোড়ার পিঠে বসে ছবি একটা অবশ্যই তোলেন। তবে এমন শখ মেটাতে গিয়ে জরিমানা গুনতে হচ্ছে এক পর্যটককে। ১০০ বা ২০০ টাকা নয়, বাংলাদেশি টাকায় এর পরিমাণ ২০ লাখ ৮৮ হাজার ৩০১ টাকা (১৯ হাজার মার্কিন ডলার)।

বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে এক আইরিশ পর্যটক এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন।

নিউইয়র্ক পোস্ট-এর খবরে বলা হয়, ওই পর্যটক মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। ব্রাসেলস স্টক এক্সচেঞ্জের সামনে এক ব্যক্তি সিংহের মাথায় একটি হাত দিয়ে রেখেছে ও তার আরেক হাতে একটি টর্চ—এমন একটি ভাস্কর্য রয়েছে। সম্প্রতি ১৫ কোটি মার্কিন ডলারের সংস্কার প্রকল্পের অংশ হিসেবে দুটি ভাস্কর্যকে সংস্কার করা হয়। এর একটি ছিল সিংহ ও ওই ব্যক্তির সেই ভাস্কর্য।

এক ভিডিওতে দেখা যায়, আইরিশ ওই পর্যটক সিংহের পিঠে চড়ে নামতে গিয়ে ভাস্কর্যের একটি অংশ ভেঙে ফেলেন। ধারণা করা হচ্ছে, ভাঙা টুকরাটি ভাস্কর্যে থাকা ওই ব্যক্তির হাতে থাকা টর্চ।

ভাস্কর্যটি ‘দ্য বোর্স’ নামে পরিচিত। সংস্কার শেষে এটি সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়ার এক দিন পরই এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ওই পর্যটককে পুলিশ কাছের একটি রেস্তোরাঁ থেকে গ্রেপ্তার করেছে। পর্যটক দাবি করেছেন, তাঁর কারণে ভাস্কর্যের কোনো ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি জানেন না।

সংস্কার প্রকল্পের ব্যবস্থাপক নেল ভ্যানডেভেনেট বলেন, ব্রাসেলস স্টক এক্সচেঞ্জ ভবন এবং এই ভাস্কর্যগুলো তালিকাভুক্ত ঐতিহ্য।

নেল গণমাধ্যম ভিআরটি এসডব্লিউএসকে বলেন, ‘আমরা দ্রুতই ভাস্কর্যটি মেরামত করতে চাই, তবে কয়েক সপ্তাহ বা এমনকি কয়েক মাসও লেগে যেতে পারে।’

এই কর্মকর্তা আরও বলেন, পুরো ভবনটির আগের সৌন্দর্য মাত্রই ফিরিয়ে আনা হয়েছে। ভবনের দুটি সিংহের ভাস্কর্যসহ অনেক ক্ষেত্রে সংস্কার করতে হয়েছে।

নেল আরও বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম, ভাস্কর্যগুলোকে মানুষ অনেক গুরুত্ব দেবে। কিন্তু যা হয়েছে, তা খুবই দুঃখজনক।’

গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ভাস্কর্য মেরামত করতে বেলজিয়াম সেই আইরিশ পর্যটকের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ চাইছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.