সি-মোদি বৈঠক চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক চায় ভারত

0
24
গতকাল চীনের তিয়ানজিনে এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং, ছবি: রয়টার্স

ভারত ও চীনের নিজস্ব কৌশলগত নীতি রয়েছে। প্রতিবেশী এই দুই দেশের সম্পর্ক তৃতীয় কোনো দেশের চোখ দিয়ে দেখা উচিত নয়। ভারত পারস্পরিক সম্মান, আস্থা ও সংবেদনশীল বিষয়গুলোর প্রতি শ্রদ্ধা রেখে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। গতকাল রোববার চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ কথা বলেন।

গতকাল চীনের উত্তরাঞ্চলের বন্দরনগর তিয়ানজিনে চলতি বছরের সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) দুই দিনব্যাপী শীর্ষ সম্মেলন শুরু হয়। শীর্ষ সম্মেলন শুরুর আগে মোদি ও সির মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠক শেষে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, মোদি চীনের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যঘাটতি কমানো এবং আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পর্যায়ে সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। বিশেষ করে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা ও ন্যায্য বাণিজ্যের ওপর তিনি জোর দেন।

চীনের সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সি বৈঠকে মোদিকে বলেন, চীন ও ভারত প্রতিদ্বন্দ্বী নয়, বরং সহযোগী দেশ। দুই দেশ একে অপরের জন্য হুমকি নয়, উন্নয়নের সুযোগ। যতক্ষণ দুই দেশ এই মূলমন্ত্র নিয়ে এগিয়ে যাবে, ততক্ষণ চীন-ভারতের সম্পর্ক স্থিতিশীল থাকবে এবং সুদূরপ্রসারী হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সি বলেন, ‘শুধু সীমান্ত-সংক্রান্ত বিষয়গুলো দিয়ে আমরা চীন-ভারতের সামগ্রিক সম্পর্ক নির্ধারিত হতে দিতে পারি না।’

চীনের নেতৃত্বে ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত এসসিওকে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা দেশগুলোর জি-৭ ও অন্য অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা জোটগুলোর বিকল্প হিসেবে দেখা হয়। এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদেশগুলো হলো চীন, রাশিয়া, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, তাজিকিস্তান ও উজবেকিস্তান। ২০১৭ সালে ভারত ও পাকিস্তান এতে যোগ দেয়। পরবর্তীতে ইরান ও বেলারুশও এসসিওর পূর্ণ সদস্য হয়।

এবারের এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে ২০ জনের বেশি রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান এবং ১০টি আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানেরা যোগ দিয়েছেন। এর মধ্যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান অন্যতম।

গতকাল বিকেলে সম্মেলন উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক ভোজসভায় সি বলেন, আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষার পাশাপাশি নিজ সদস্যদের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে ‘বড় দায়িত্ব পালন করছে’ এসসিও।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.