বিপিএল বিতর্কসহ নানা কারণে আলোচনায় দেশের ক্রিকেট। এসব সমস্যা সমাধানের জন্য জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়কদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ। বৈঠক শেষে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এই কথা জানান সাবেক অধিনায়ক ও কোচ রাজিন সালেহ।
সোমবার (১৭ জানুয়ারি) মিরপুর শেরে বাংলায় এমন একটি বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য বিসিবিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।
রাজিন সালেহ বলেন, প্রেসিডেন্ট ফারুক ভাইকে ধন্যবাদ, আমাদের আমন্ত্রণ জানানোয়। তার সঙ্গে আমাদের মূলত বিপিএল নিয়েই কথা হয়েছে। আগামীতে কীভাবে বিপিএলটা আরও ডেভেলপ করা যায় ও ক্রিকেটের উন্নতি করা যায়, এসব নিয়েই কথা হয়েছে। আমরা ৫-৬ জন ছিলাম। মোবাইলে আরও ২-৩ জন ছিলেন।
তিনি বলেন, আমাদের কথা ছিল বিপিএল কীভাবে আরও ডেভেলপ করা যায়, সূচিটা কীভাবে আপডেট করা যায়। এনসিএল টি-টোয়েন্টি কখন শুরু করলে আমরা পুরোপুরি কাজে লাগাতে পারব টুর্নামেন্টটা। বিপিএলে আগামীতে যেন আরও ভালো ফ্র্যাঞ্চাইজি আসে, ভালো টুর্নামেন্ট কীভাবে হবে, ভালো বিদেশি ক্রিকেটাররা আসবে, কখন তাদের পাব, ওই হিসেবে কথা বলা হয়েছে।
বিপিএল ছাড়াও এনসিএল টি-টোয়েন্টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান রাজিন। সাবেক এই অধিনায়ক বলেন, শুধু বিপিএল নয়, এনসিএল টি-টোয়েন্টিটা কীভাবে আরও ডেভেলপ করা যায়, প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটটা কীভাবে আরও ইম্প্রুভ করা যায়, এসব পারিপার্শ্বিক সব বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে। আসলে সময় কম ছিল। আগামীতে ফারুক ভাই হয়তো আবারও ডাকবেন। সর্বোপরি বাংলাদেশ ক্রিকেট কীভাবে এগিয়ে নেওয়া যায়।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি সবচেয়ে বেশি মূল্যায়ন করি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটকে। এটা কীভাবে ডেভেলপ করা যায়। এর সঙ্গে ডিস্ট্রিক্ট যে টুর্নামেন্টটা আছে, সেসব ক্রিকেটাররা কীভাবে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সম্পৃক্ত হতে পারে। কীভাবে আরেকটা টুর্নামেন্ট খেললে তারা প্রথম শ্রেণিতে ইনভলব হতে পারে, এসব নিয়ে কথা হয়েছে।
বিসিবি সভাপতির এই বৈঠকে আমন্ত্রিত ছিলেন সাবেক অধিনায়ক শফিকুল হক হীরা, রকিবুল হাসান, গাজী আশরাফ হোসেন লিপু, মিনহাজুল আবেদীন নান্নু, হাবিবুল বাশার, রাজিন সালেহ, শাহরিয়ার নাফীস, আকরাম খান, খালেদ মাসুদ পাইলট, মোহাম্মদ আশরাফুল এবং খালেদ মাহমুদ সুজন।
কিন্তু উপস্থিত ছিলেন গাজী আশরাফ হোসেন লিপু, মিনহাজুল আবেদীন নান্নু, হাবিবুল বাশার, রাজিন সালেহ, শাহরিয়ার নাফীস, আকরাম খান ও মোহাম্মদ আশরাফুল। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দল থেকে বাদ পড়া লিটন কুমার দাস ও মুমিনুল হক।