একটি দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। আজ বৃহস্পতিবার সকালে এই পরীক্ষা চালানো হয়। ক্ষেপণাস্ত্রটি দেশটির পূর্ব উপকূলের সাগরে রাশিয়া–জাপানের মাঝামাঝি জায়গায় আছড়ে পড়ে। জাপান আর দক্ষিণ কোরিয়ার পক্ষ থেকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
সিউলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, উত্তর কোরিয়া একটি আন্তমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এর এক দিন পরই পরীক্ষার কথা জানানো হলো।
উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ের পাশ থেকে স্থানীয় সময় আজ সকাল ৭টা ১০ মিনিটে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রটি ছোড়া হয়। জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। পরে জাপান সরকারের তরফে জানানো হয়, সকাল ৮টা ৩৭ মিনিটে উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রটি সাগরে পড়েছে।
বিবৃতিতে জানানো হয়, উত্তর কোরিয়ার দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রটি আকাশে অনেক উঁচু দিয়ে উড়ে যেতে সক্ষম বলে মনে করা হচ্ছে।
এর আগে জাপান সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, উত্তর কোরিয়ার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রটি জাপানের উত্তরাঞ্চলের হোক্কাইডো অঞ্চলের ওকুশিরি দ্বীপ থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার (১৯০ মাইল) পশ্চিমে পড়েছে। জায়গাটি জাপানের এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোন বা বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের বাইরে, রাশিয়ার উপকূলের দিকে।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা জানান, উত্তর কোরিয়া থেকে উড়ে আসা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের কারণে হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির কোনো ঘটনা ঘটেনি।
আর দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল নাকাতানি বলেন, উত্তর কোরিয়ার এ কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানায় জাপান। এটা শুধু জাপানের জন্য নয়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্যও হুমকি।
সর্বশেষ গত ডিসেম্বরে আন্তমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছিল উত্তর কোরিয়া। সেটি ১৫ হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম বলে মনে করা হয়। কাজেই এ ক্ষেপণাস্ত্র যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডের যেকোনো জায়গায় আঘাত হানতে পারে।
রয়টার্স, সিউল