সাগরে এক ট্রলারের জালে ধরা পড়েছে ৬১ মণ ইলিশ, বিক্রি ৩৩ লাখ টাকায়

0
21
আলীপুর মৎস্যবন্দরে নিলামের মাধ্যমে ইলিশ বিক্রি হয় ৩৩ লাখ ৪৮ হাজার ৭০৪ টাকায়। গতকাল সোমবার

পটুয়াখালীর কুয়াকাটাসংলগ্ন গভীর বঙ্গোপসাগরে এক মাছ ধরার ট্রলারের জালে ধরা পড়েছে ৬১ মণ ইলিশ। গতকাল সোমবার বিকেলে মাছ নিয়ে আলীপুর মৎস্যবন্দরে ফিরলে তা নিলামের মাধ্যমে বিক্রি হয় ৩৩ লাখ ৪৮ হাজার ৭০৪ টাকায়।

জেলে আবু সালেহ জানান, ‘এফ বি আল্লাহর দান’ নামের একটি ট্রলারে ২২ জন জেলে গত বৃহস্পতিবার আলীপুর ঘাট থেকে সাগরে রওনা হন। কুয়াকাটা থেকে প্রায় ১৭০ কিলোমিটার দূরে গভীর সাগরে জাল ফেলেন তাঁরা। গত শনিবার বিকেলে জাল তুলতেই দেখা যায়, জালে ধরা পড়েছে বিপুল পরিমাণ ইলিশ। পরে মাছভর্তি ট্রলারটি গতকাল বিকেলে আলীপুর বন্দরে ফিরে আসে।

মাছগুলো বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) মার্কেটের মেসার্স খান ফিসের আড়তে নিলামের মাধ্যমে বিক্রি হয়। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপক সাগর মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ৯০০ গ্রাম থেকে ১ কেজি ওজনের ইলিশ প্রতি মণ ৭৩ হাজার টাকা, ৬০০ থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতি মণ ৫৮ হাজার টাকা এবং ৪০০ থেকে ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতি মণ ৪৪ হাজার টাকা দরে কেনা হয়েছে। ইলিশের সঙ্গে ৪০ হাজার টাকার অন্যান্য সামুদ্রিক মাছও কেনা হয়। সব মিলিয়ে মাছের দাম পড়ে ৩৩ লাখ ৪৮ হাজার ৭০৪ টাকা।

এর আগে ৯ জুলাই একই এলাকায় ‘এফ বি সাদিয়া-২’ ট্রলারে ধরা পড়ে ৬৫ মণ ইলিশ। সেই মাছ মেসার্স খান ফিসে বিক্রি হয় ৩৯ লাখ ৬০ হাজার টাকায়।

মেসার্স খান ফিসের মালিক আবদুর রহিম খান বলেন, জেলেরা আজ বড় বড় ইলিশ নিয়ে ফিরেছেন। কয়েক দিন ধরেই গভীর সমুদ্রে ভালো পরিমাণ মাছ ধরা পড়ছে।

কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, এখন জেলেরা ভালোই ইলিশ পাচ্ছেন। তবে গভীর সমুদ্রেই মাছ বেশি মিলছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে মাছের সরবরাহ আরও বাড়বে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.