দেশের সাংবিধানিক প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার লক্ষ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত কোনো অপপ্রচারকে প্রশ্রয় বা উস্কানি না দেওয়ার জন্য গণতন্ত্র ও আইনের শাসনে বিশ্বাসী রাজনৈতিক দল ও সংগঠনগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘গণতন্ত্র ও আইনের শাসনে বিশ্বাসী রাজনৈতিক দলসমূহ এবং প্রতিষ্ঠানের প্রতি অনুরোধ— সাংবিধানিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হয় এমন কোনো উদ্ভট ধারণাকে প্রশ্রয় দেবেন না এবং ইন্ধন যোগাবেন না।’
বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের চার বছর পূর্তি উপলক্ষে আজ শুক্রবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যমে সরাসরি এই ভাষণ প্রচার করা হয়।
আগামী জাতীয় নির্বাচন এই বছরের শেষে বা পরের বছরের শুরুর দিকে অনুষ্ঠিত হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, স্বাধীনতা বিরোধী, ক্ষমতালোভী, জনগণের সম্পদ লুণ্ঠনকারী আর পরগাছা গোষ্ঠীর সরব তৎপরতা শুরু হয়েছে। এদের লক্ষ্য ঘোলাটে পরিস্থিতি সৃষ্টি করে পেছনের দরজা দিয়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করা। গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা ব্যাহত করা। কাজেই সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
তিনি বলেন, ‘এরা লুণ্ঠন করা অর্থ দিয়ে দেশে-বিদেশে ভাড়াটে বুদ্ধিজীবী ও বিবৃতিজীবী নিয়োগ করেছে। তারা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কুৎসা রটিয়ে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যে ও ভুয়া তথ্য ছড়িয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। এদের মিথ্যাচারে বিভ্রান্ত হবেন না।’
একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে তার সরকার নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেবে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রত্যাশা করছি। নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য বাংলাদেশে এই প্রথম একটি আইন পাস করা হয়েছে। সেই আইনের আওতায় সার্চ কমিটি করে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনকে আর্থিক স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করছে এবং ভবিষ্যতেও করবে। সরকার সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনকে সব ধরনের সহায়তা দিয়ে যাবে।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ জনগণের দল, জনগণের শান্তিতে বিশ্বাসী, জনগণের শক্তিতে বিশ্বাসী। জনগণ ভোট দিয়ে বিজয়ী করলে আওয়ামী লীগ দেশ গড়ার জাতীয় দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখবে। যদি বিজয়ী না করে, তাহলে আমরা জনগণের কাতারে চলে যাব। তবে, যেখানেই থাকি, আমরা জনগণের সেবা করে যাব।’