ভূমি আরও বলেন, ‘আমি নিজেকে কখনো কেবল অভিনয়শিল্পী মনে করি না। আমার কাছে যখন চলচ্চিত্রের মতো এত বড় একটা মাধ্যম আছে, সেটার মাধ্যমে অনেক বার্তাই দেওয়া যায়। আমি বরাবরই নিজের ছবির মাধ্যমে সমাজ-সংস্কৃতিতে প্রভাব রাখতে চাই। অভিনয় মানে আমার কাছে দর্শকের সঙ্গে কথা বলা। এটা আমার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ।’
সমালোচকদের প্রশংসা জুটলেও প্রেক্ষাগৃহে তেমন একটা ব্যবসা করতে পারেনি ‘বাধাই দো’। তারপরও ছবিটি ভূমির হৃদয়ে বিশেষ জায়গা নিয়ে আছে, ‘সমকামীদের মধ্যে আমার অনেক বন্ধু-স্বজন আছেন। তাঁদের গল্প যখন শুনি, নিজেকে অসহায় মনে হয়। তাঁদের গল্প কীভাবে সবাইকে জানাব, এ নিয়ে ভাবতে থাকি। “বাধাই দো”তে কিছুটা হলেও সেটা করতে পেরেছি।’
যে উদ্দেশ্য নিয়ে ছবিটি করেছিলেন, তাতে তিনি সফল বলেও মনে করেন ভূমি, ‘ছবিটি মুক্তির সময় কোভিডের কারণে আসনসংখ্যা অর্ধেক রাখতে হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় নিলে দর্শকের কাছ থেকে যথেষ্ট সাড়া পেয়েছি। কয়েক মাস পরে বিশ্বজুড়ে ওটিটিতে যখন মুক্তি পেল, তখন ছবিটি ব্যাপক সাড়া ফেলে।’
চলতি বছর ভূমি পেদনেকরকে ছয়টি সিনেমায় দেখা যাবে। ভূমি বলেন, ‘সিনেমাগুলোয় শক্তিশালী নারী চরিত্রে আমাকে দেখা যাবে। অভিনেত্রী হিসেবে এর চেয়ে বেশি আর কী চাই!’ ২০২৩ সালে ভূমিকে দেখা যাবে ‘ভেদ’, ‘দ্য লেডিকিলার’, ‘আফওয়া’, ‘ভক্ষক’, ‘মেরে হাজব্যান্ড কি বিবি’ ইত্যাদি সিনেমায়।