সব ধরনের ঋণের সুদের হার বাড়াচ্ছে জাপান সরকারের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা জাইকা। ২ দশমিক ২৬ শতাংশ হারে সুদের হার নির্ধারণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে সংস্থাটির পক্ষ থেকে। তাদের ঋণের বর্তমান সুদ হার ১ দশমিক ৬ শতাংশ। আগামী অক্টোবর থেকেই সুদের নতুন হার কার্যকর করতে চায় সংস্থাটি। তবে বাংলাদেশ যাতে জাইকার প্রস্তাবিত এ হারের চেয়ে কম সুদে ঋণ পেতে পারে– সে বিষয়ে ইতোমধ্যে আলোচনা শুরু করেছে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)।
প্রস্তাবিত হারে বাস্তবায়ন হলে অতিরিক্ত দশমিক ৬৬ শতাংশ হারে সুদ গুনতে হবে বাংলাদেশকে। অফিসিয়াল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসিস্ট্যান্স (ওডিএ) ঋণ এবং কারিগরি সহায়তা স্কিমের আওতায় ঋণ দিয়ে থাকে জাইকা। কিছু অনুদানও রয়েছে তাদের। স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত ৩ হাজার কোটি ডলারের বেশি ঋণ ও অনুদান দিয়েছে জাপান।
ইআরডির একজন কর্মকর্তা বলেন, জাইকা শুধু বাংলাদেশে জন্য নয়, বিশ্বের যেসব দেশে তাদের ঋণ সহায়তা রয়েছে, তাদের সবার জন্যই সুদহার ইতোমধ্যে বাড়িয়েছে। এ হার আবারও বাড়ানোর প্রক্রিয়া চলছে। তিনি বলেন, জাইকা নতুন করে সুদের হার বাড়ালেও অনেক উন্নয়ন সহযোগী দেশ এবং সংস্থার তুলনায় এখনও তা কম। সবচেয়ে কম সুদে বাংলাদেশকে ঋণ দেয় বিশ্বব্যাংক। সংস্থার ঋণে সুদের হার শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ থেকে ২ দশিমক ২০ শতাংশ। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ঋণে সুদের হার ১ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশ পর্যন্ত। ইসলামিক উন্নয়ন ব্যাংকের (আইডিবি) ঋণে সুদের হার ২ থেকে প্রায় ৪ শতাংশ পর্যন্ত। ২০১৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের জন্য জাইকার ঋণের সুদের হার ছিল বাংলাদেশ মাত্র শূন্য দশমিক ১ শতাংশ। গত বছর পর্যন্ত এ হার ছিল শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ। মাথাপিছু আয় বেড়ে যাওয়াসহ আরও কিছু বিষয় বিবেচনায় নিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ে ঋণে সুদের হার বাড়িয়ে থাকে উন্নয়ন সহযোগীরা।