সব তেল ত্বকের জন্য না

0
240
নারিকেল তেল

ত্বক মিলিয়ে তেল

শীতে ত্বকের জন্য তেল আদর্শ

শীতে ত্বকের জন্য তেল আদর্শ
ছবি: নকশা

হালকা শীতে ত্বকে লোশন ব্যবহার করলেও ভারী শীতে তেলের বিকল্প নেই। তবে যেকোনো তেলই যে ত্বকের জন্য ভালো হবে, বিষয়টি কিন্তু এমন না। অ্যালার্জি আছে বা খুব স্পর্শকাতর ত্বকে নারকেল তেল, জলপাই তেল বা বাদাম তেল উপকার দেবে, বলছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের চর্ম ও যৌনরোগ বিভাগের অধ্যাপক মাসুদা খাতুন। তবে শীতে ত্বকের জন্য বিশেষভাবে তৈরি জলপাই ও বাদাম তেল ব্যবহার করতে হবে। ত্বকের যত্নে শর্ষে তেল ব্যবহার না করারও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। কারণ, এটি ত্বকের ব্যবহারের উপযোগী করে তৈরি হয় না। এ ছাড়া শর্ষে তেলের একধরনের ঝাঁজ থাকে, যা ত্বকে আনে কালচে ভাব।

তেল থাকবে আবার চলেও যাবে

ভারী শীতে তেলের বিকল্প নেই

ভারী শীতে তেলের বিকল্প নেই
ছবি: নকশা

শীতে ত্বকে আর্দ্রতা ঠিকঠাক রাখতেই মূলত তেলের প্রয়োজন পড়ে। নারকেল, জলপাই ও বাদাম তেল ত্বকে ব্যবহারের জন্য যথাযথ। তবে অবশ্যই এগুলোকে হতে হবে এক্সট্রা ভার্জিন, বলছিলেন ল্যাভিস বুটিক স্যালনের রূপবিশেষজ্ঞ সুমাইয়া মৌসিনীন। যেসব তেল মাথায় দেওয়ার জন্য, সেগুলো ত্বকে লাগানো যাবে না।

ত্বকে তেল ব্যবহারের পর চিটচিটে ভাব অনেকের কাছেই অস্বস্তি তৈরি করে। তেল চিটচিটে ভাব কমাতে মুখে হালকা পানির ঝাপটা দেওয়ার পরামর্শ দিলেন এই রূপবিশেষজ্ঞ। এতে ত্বকে তেলের কাজও হয়, আবার খুব ভারী ভাবও কেটে যায়। ত্বকে সরাসরি ঘন ও ভারী তেল ব্যবহার করতে না চাইলে গোসল শেষে এক মগ পানিতে কিছুটা জলপাই তেল মিশিয়ে সারা শরীর ও মুখে ঢেলে দিতে হবে। এতে করে পুরো শরীরের ত্বকের ময়েশ্চারাইজারের কাজ হয়ে যাবে। কমবে রুক্ষতা ও শুষ্কতা। বিশেষ করে গর্ভাবস্থায় এ পদ্ধতিতে জলপাই তেল ব্যবহারে দূর হয় পেটের দাগ। বাদাম তেল অন্য তেলের থেকে কিছুটা ঘন হয়। তাই ত্বকে সরাসরি ব্যবহার না করে প্রয়োজনমতো অ্যালোভেরা জেল, গোলাপজল ও নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া যায়।

যে সময়ে তেল দেবেন

শীতের সময়ে বাতাসে ধুলাময়লা বেড়ে যায়; যা ত্বকে সহজেই আটকে যায়। তাই তেল ব্যবহারের ভালো সময় হলো রাত। এ ছাড়া গোসল শেষে শরীরে তেল ব্যবহারে ময়েশ্চারাইজার ধরে রাখা সহজ হয়।

রিফাত পারভীন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.