প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘জাতীয় নির্বাচন যখন সময়, তখন হবে। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন যখন হওয়ার কথা তখনই হবে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সাম্প্রতিক সুইজারল্যান্ড সফরের ফলাফল সম্পর্কে গণমাধ্যমকে অবহিত করতে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এই কথা বলেন। বুধবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এই সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়।
সংবাদ সম্মেলন শেখ হাসিনা বলেন, ‘অনেক ত্যাগের মধ্য দিয়ে, অনেক আন্দোলন সংগ্রাম করে, অনেক রক্ত দিয়েই কিন্তু আমি একটা গণতান্ত্রিক ধারা অব্যহত রেখেছি। আর এই গণতান্ত্রিক ধারা অব্যহত আছে বলেই দেশটা এগিয়ে গেছে।’
তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, কোভিড-১৯ এর কারণে অর্থনীতির ওপর চাপ পড়েছে। কারণ, তখন বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা ছিল। এরপর মরার ওপর খাড়ার ঘা হলো রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, স্যাংশন কাউন্টার স্যাংশন। এর ফলে প্রত্যেকটা জিনিসের দাম বেড়ে গেছে। শুধু আমাদের দেশে না, বিশ্বব্যাপী বেড়ে গেছে। সারাবিশ্বে এই অস্থিরতা চলছে। আর বাংলাদেশ, একটা ছোট্ট ভূখণ্ডে বিশাল জনগোষ্ঠী। ১৭ কোটি মানুষের খাদ্য, বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষা- তাদের সবকিছু আমাদের পূরণ করতে হয়।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের জনসংখ্যার তুলনায় কিন্তু আমাদের চাষ উপযোগী জমি সীমিত। তারপরও আমরা খাদ্য উৎপাদন করে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের হাতে যেগুলো ছিল সেগুলো আমরা সেগুলো করতে পেরেছি। কিন্তু যেসব জিনিস বাইরে থেকে আনতে হচ্ছে সেসব জিনিসের দাম বেড়ে গেছে। পরিবহন খরচ বেড়ে গেছে। যার আঘাত আমাদের ওপর এসে পড়ছে। তারপরও আমাদের দেশের মানুষের যেন কষ্ট না হয় আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছি। এমন পরিস্থিতিতে দেশের নির্বাচন নিয়ে একেকজন একেক কথা বলা স্বাভাবিক।’
গত ১৩ জুন চার দিনের সফরে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৪ ও ১৫ জুন অনুষ্ঠিত ‘ওয়ার্ল্ড অফ ওয়ার্ক সামিট: সোশ্যাল জাস্টিস ফর অল’-এ যোগদান শেষে ১৭ জুন দেশে ফেরেন তিনি।
সুইজারল্যান্ডে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন সংস্থা ও দেশের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।