অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) সূত্রে জানা গেছে, বিদেশি উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম ৪ মাসে (জুলাই-অক্টোবর) আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৬৫ কোটি ডলার কম সহায়তা এসেছে। এ ৪ মাসে সহায়তা এসেছে ১৯৭ কোটি ডলার। গত বছর একই সময়ে এসেছিল ২৬৩ কোটি ডলার।
আইএমএফের কাছে ৪৫০ কোটি ডলার ঋণের জন্য এরই মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে। ঋণ অনুমোদিত হলে প্রথম কিস্তিতে ৪৫ কোটি ডলার পাবে বাংলাদেশ। কিন্তু সরকার যদি উন্নয়ন সহযোগীদের প্রতিশ্রুত অর্থ দ্রুত ছাড় করতে উদ্যোগী হয়, তাহলে এর বেশি অর্থ পাওয়া যেত। যেমন গত চার মাসে বিদেশি সহায়তার যত অর্থ কম মিলেছে, তা আইএমএফের প্রথম কিস্তি থেকে অনেক বেশি।
ইআরডি সূত্রে জানা গেছে, গতবারের চেয়ে বিদেশি সহায়তার প্রতিশ্রুতি বেশি মিলেছে। এ বছর প্রথম ৪ মাসে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে ৪১৩ কোটি ডলারের প্রতিশ্রুতি মিলেছে। আগেরবার এর পরিমাণ ছিল মাত্র ২৭৬ কোটি ডলার।
ইআরডি কর্মকর্তারা বলেছেন, বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে উন্নয়ন সহযোগীরা কিছুটা ধীরগতিতে অর্থছাড় করছে। এ ছাড়া সরকারের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়নে কিছুটা ধীরগতি আছে। প্রায় সব প্রকল্পে ব্যয় সাশ্রয়ের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
বিদেশি ঋণের অর্থ ডলারে পরিশোধ করা হয়। তবে সরকার বাজেটে এ জন্য আলাদা বরাদ্দ রাখে। গত জুলাই-অক্টোবর সময়ে ডলারে বিদেশি ঋণের সুদ-আসল পরিশোধের পরিমাণ কমেছে। ওই সময়ে ৭২ কোটি ডলারের সমপরিমাণ ঋণ পরিশোধ হয়েছে। আগের বছরের একই সময়ে ৮০ কোটি ডলার ঋণ পরিশোধ করা হয়েছিল। তবে ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমে যাওয়ায় ৫২৬ কোটি টাকা বেশি পরিশোধ দেখানো হচ্ছে। গত জুলাই-অক্টোবর মাসে ৬ হাজার ৯০৬ কোটি টাকার সমপরিমাণ অর্থ পরিশোধ করা হয়েছে। গতবার একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ৬ হাজার ৩৮০ কোটি টাকা। এখানে উল্লেখ্য, বিদেশি ঋণের সুদ-আসল পরিশোধ করা হয় ডলারে বা বিদেশি মুদ্রায়।