ছোট মাঠ, ব্যাটে বল এসেছে সহজে। স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা ইমার্জিং দল ওই সুযোগ নিতে ভুল করেননি। ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেটে ৩৪৯ রান তোলে তারা। জবাবে সাহসী শুরু করেছিল বাংলাদেশ ইমার্জিং দল। কিন্তু উইকেট ধরে রাখতে না পারায় ৩০১ রানে আউট হয়েছে। আসর শুরু করেছে ৪৮ রানে হেরে।
বড় রান করার পথে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত শুরু করে শ্রীলঙ্কা ইমার্জিং দল। জাতীয় দলের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ওপেনার আভিস্কা ফার্নান্দো খেলেন ১২৪ বলে ১৩৩ রানের ইনিংস। তিনি ১৩টি চারের সঙ্গে ছক্কা তোলেন তিনটি।
অন্য ওপেনার লাসিথ ক্রসপুলে ৩১, তিনে নামা মিনোদ ভানুকা ৫৭, পাঁচে নামা পাসিন্দা সোরিয়াবান্দারা ৩২ বলে ৪৩ রান যোগ করেন। আসেন বান্দারা খেলেন ২৫ বলে ৩৫ রানের ইনিংস। অধিনায়ক দুনিতের ব্যাট থেকে আসে ১৯ বলে ৩১ রান।
জবাব দিতে নেমে ঝড়ো শুরু করেন অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী তরুণ ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। তিনি ৩৯ বলে ১১ চারের শটে ৫১ রান করে আউট হন। জাতীয় দলের হয়ে ব্যর্থ হওয়া ওপেনার নাঈম শেখ শ্রীলঙ্কা গিয়ে ২৫ বলে ২২ রান যোগ করে সাজঘরে ফেরেন।
এরপর তিনে নামা জাকির হাসান ২২ বলে ২৪ রান করে আউট হন। চারে নামা অধিনায়ক সাইফ হাসানও ঝড়ো ব্যাটিং করেন। তার ব্যাট থেকে আসে ৪৬ বলে তিন ছক্কা ও চারটি চারের শটে ৫৩ রানের ইনিংস। সেট হয়ে আউট হওয়া টপ অর্ডারের এই চার ব্যাটারের একজন ক্রিজে দাঁড়িয়ে গেলে ম্যাচ ঘুরে যেতে পারতো।
তাদের আউট হওয়ার চাপ সামলাতে পারেননি পাঁচে নামা মাহমুদুল জয় কিংবা ছয়ে নামা অভিজ্ঞ সৌম্য সরকার। জয় ২১ বল খেলে ১১ রান করে আউট হয়ে যান। সৌম্য উইকেট ধরে খেললেও ৪৬ বলে চারটি চারের শটে ৪২ রান করে আউট হন।
শেষ দিকে ডানহাতি স্পিন অলরাউন্ডার শেখ মাহেদি ও তরুণ বাঁ-হাতি স্পিনার রাকিবুল হাসান ভালো ব্যাটিং করায় বাংলাদেশ ইমার্জিং দলের হারের ব্যবধান কমেছে। শেখ মাহেদি ৩০ বলে তিন চার ও দুই ছক্কায় ৩১ রান করে আউট হন। রাকিবুল ৩৬ বলে তিনটি ছক্কা ও দুই চারে ৪০ রান করে আউট হন। পেসার রিপন মন্ডল ১৬ রান করেন।