এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার শ্রীমঙ্গলের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা নিচের দিকে থাকায় সকাল সকাল সূর্য উঠলেও অনেক বেলা পর্যন্ত কনকনে ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে।
এদিকে গত বুধবার থেকে হাড়কাঁপানো কনকনে ঠান্ডায় জবুথবু হয়ে পড়েছে চায়ের রাজ্য শ্রীমঙ্গলের জনজীবন। সন্ধ্যার আগ থেকে পরদিন দুপুর পর্যন্ত হাড়কাঁপানো শীতে কষ্ট পাচ্ছে মানুষ।
তবে এই শীতে শ্রীমঙ্গলে চা–বাগানের শ্রমিক ও নিম্ন আয়ের লোকজন বেশি কষ্ট পাচ্ছেন। এ বিষয়ে উপজেলার গান্ধিছড়া চা–বাগানের শ্রমিক নয়ন নায়েক বলেন, ‘চা–বাগানে সবচেয়ে বেশি ঠান্ডা। রাতের বেলা চা–বাগানে ভীষণ শীত পড়ে। আমরা অনেক কষ্ট করে থাকি। বেসরকারিভাবে আমাদের এলাকায় কিছু মানুষ শীতের পোশাক পেয়েছে। সরকার থেকে দিলে বাকিরাও পেত। চা-শ্রমিকেরা শীত থেকে বাঁচতে আগুন পোহাচ্ছেন।’
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বলেন, আজ দেশের শ্রীমঙ্গলের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল ছিল ৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কয়েক দিন ধরে শ্রীমঙ্গলের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বইছে। আগামী কয়েক দিন এ ধরনের আবহাওয়া বিরাজ করবে।