হিমালয়ের কাছাকাছি অবস্থানের কারণে উত্তরের জেলা দিনাজপুরে প্রতিনিয়তই কমছে তাপমাত্রা। সেই সঙ্গে ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন হতে শুরু করেছে জনপদ। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই এ অঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহ বিরাজ করতে পারে। সেই সঙ্গে হালকা বৃষ্টিরও সম্ভাবনা রয়েছে। এসব তথ্য জানিয়েছেন আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তারা।
বুধবার জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে দিনের বেলায় সূর্যের প্রখরতা ছিল একেবারেই কম। এদিন সকালে সূর্যের দেখা মেলে সকাল সাড়ে ৯টার পর। বিকেল ৪টার পর আর সূর্য দেখা যায়নি।
সকাল থেকেই সড়কে যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। সারাদিনই লোকজন গরম কাপড় পরিধান করে চলাচল ও কাজকর্ম করেছেন। গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে লক্ষ্য করা গেছে ভিড়।
সদর উপজেলার শেখপুরা ইউনিয়নের বোলতৈড় এলাকার কৃষক সেলিম রেজা বলেন, কুয়াশা বাড়লে আলুতে লেট ব্লাইট রোগের আক্রমণ হয়। ফলে বালাইনাশক স্প্রে করতে হয়। এতে খরচ বাড়বে।
গোপালপুর এলাকার কৃষক পরেশ চন্দ্র সরকার বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে আমাদের কৃষকদের একটু আতঙ্ক থাকে। এই শীতকালীন সময়টাতেই আমাদের কৃষির বেশ ক্ষতি হয়।
সদর উপজেলার মাতাসাগর এলাকার সফিকুল ইসলাম বলেন, আমি দিনমজুরি করে দিনাতিপাত করি। এই শীতের সময় আমার কাজ করতে একটু সমস্যা হয়। বয়স তো হয়েছে, ঠান্ডা সহ্য করতে পারি না। অনেক সময় কাজেও যেতে পারি না শীতের কারণে। ফলে আয়-রোজগার কমে যায়।
দিনাজপুর আঞ্চলিক পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের আবহাওয়া সহকারী আসাদুজ্জামান জানান, মঙ্গলবার তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি। গত কয়েক দিন ধরেই তাপমাত্রা ওঠানামা করছে। কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকছে পরিবেশ। এ মাসেই শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাস রয়েছে। হালকা বৃষ্টিও হতে পারে।