শেষ বলে শুভাগতর ছক্কা, আরিফুলের ৮ ছক্কায় ৯৪—জিশানের সিলেটকে হারাল ঢাকা

0
7
৪৬ বলে ৯৪ রান করেছেন ঢাক বিভাগের আরিফুল ইসলাম

৫২ বলে সেঞ্চুরি, ১০ ছক্কার পাঁচটিই টানা পাঁচ বলে—তবু হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হলো জিশান আলমকে। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আজ জাতীয় ক্রিকেট লিগের টি-টোয়েন্টি সংস্করণের প্রথম দিনে জিশানের সিলেট হেরে গেছে ঢাকা বিভাগের কাছে। রুদ্ধশ্বাস উত্তেজনার ম্যাচে শেষ বলে ছক্কা মেরে ঢাকাকে জিতিয়েছেন শুভাগত হোম। সিলেটের ২০৫ রান ৬ উইকেট হাতে রেখে পেরিয়েছে দলটি। পাশের মাঠে সকালের অন্য ম্যাচে বরিশালকে ৩১ রানে হারিয়েছে ঢাকা মহানগর।

শেষ বলে ৫ রান দরকার ছিল ঢাকার। যার অর্থ ছক্কা মারতেই হবে। পেসার তোফায়েল আহমেদের করা বলটিকে লং অফ দিয়ে উড়িয়ে সীমানা ছাড়া করে সেই প্রয়োজন মেটান শুভাগত। এই অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার শেষের নায়ক হলেও ঢাকার জয়ের ভিত গড়েন তরুণ আরিফুল ইসলাম। তিনে নামা আরিফুল ৪৬ বলে ৮ ছক্কায় ৯৪ রান করে ম্লান করে দেন জিশানের অসাধারণ সেঞ্চুরিকে। ম্যাচসেরাও হয়েছেন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সাবেক এই খেলোয়াড়।

দল ২ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর ব্যাটিংয়ে নামা আরিফুল তৃতীয় ওভারে মারেন প্রথম ছক্কা। সিলেটের পেসার রেজাউর রহমানের করা পঞ্চম ওভারে তিনটি বিশাল ছক্কায় ২২ রান তোলেন আরিফুল। পরে ১১তম ওভারে তোফায়েলকেও তিনটি ছক্কা মারা আরিফুল তৃতীয় উইকেটে আরাফাত সানি জুনিয়রকে নিয়ে ৪৩ বলে ৮৩ রানের জুটি গড়েন। ১৮ বলে ২৭ করেন আরাফাত।

শেষ বলে ছক্কা মেরেঢাকাকে   জয় এনে দিয়েছেন শুভাগত হোম (বাঁয়ে)
শেষ বলে ছক্কা মেরেঢাকাকে জয় এনে দিয়েছেন শুভাগত হোম (বাঁয়ে)

১৩তম ওভারে সেঞ্চুরি থেকে ৬ রান দূরে থেকে আরিফুল যখন ফেরেন, ৪৪ বলে ৬৬ রান দরকার ঢাকা বিভাগের। মাহিদুল ইসলামকে নিয়ে কাজটা শেষ করেন শুভাগত। শুভাগত অবশ্য ভাগ্যের সহায়তাও পেয়েছেন। ১৯তম ওভারে ক্যাচ দিয়েও খালেদ আহমেদের ‘নো’ বলের সৌজন্যে বেঁচে যান তিনি। টিভি রিপ্লে দেখে বুক সমান উচ্চতার বলটিকে নো বল ঘোষণা করা হয়।

শেষ ওভারে শুভাগতদের দরকার ছিল ১২ রান। প্রথম ৫ বলে ৭ রান তুলতে পারেন তাঁরা। তাতেই শেষ বলে ৫ রানের সমীকরণের সামনে পড়েন শুভাগত। ১৮ বলে ২টি করে চার-ছক্কায় ৩১ রান করেছেন শুভাগত। ২৩ বলে ৩০ রান করে অপরাজিত ছিলেন মাহিদুল।

মহানগরের জয়

উদ্বোধনী জুটিতে ১১৯ রান করেছেন মোহাম্মদ নাঈম ও ইমরানউজ্জামান (ডানে)
উদ্বোধনী জুটিতে ১১৯ রান করেছেন মোহাম্মদ নাঈম ও ইমরানউজ্জামান (ডানে)বিসিবি

পাশের একাডেমি মাঠে দুই ওপেনারের ফিফটিতে ভর করে ৪ উইকেটে ১৯২ রান করে ঢাকা মহানগর। রান তাড়ায় ৮ উইকেটে ১৬১ রান করতে পেরেছে বরিশাল। মহানগরের দুই ওপেনার ইমরানউজ্জামান (৩৩ বলে ৫৩) ও মোহাম্মদ নাঈম (৩৫ বলে ৬৫) ১১ ওভারে দলকে এনে দেন ১১৯ রান। দুজনই মেরেছেন ৪টি করে ছক্কা।

রান তাড়ায় বরিশালের ৫২ বলে সর্বোচ্চ ৭৭ রান করেন ফজলে রাব্বি। মহানগরের বাঁহাতি স্পিনার রাকিবুল হাসান পেয়েছেন ৩ উইকেট। রাকিবুল ৩টি উইকেটই নিয়েছেন শেষ ওভারে প্রথম চার বলের মধ্যে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.