বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) ও জার্মানির গবেষণা প্রতিষ্ঠান ফ্রেডরিক-এবার্ট-স্টিফটুং, বাংলাদেশ (এফইএস, বাংলাদেশ) যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ওই অনুষ্ঠানে ২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে ইতো নাওকি এসব কথা বলেন।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, শুধু জাপান নয়, কোনো দেশের রাষ্ট্রদূতের বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ মেনে নেওয়া হবে না। এ বিষয়ে তাঁদের সতর্ক করা হবে। বাংলাদেশ একটি স্বাধীন–সার্বভৌম রাষ্ট্র। এই দেশ কখনো কারও কাছে মাথা নত করবে না। দেশের মর্যাদা যেকোনোভাবে ধরে রাখতে হবে। তিনি বলেন, সংবিধানের ১২৬ ধারায় উল্লেখ আছে, নির্বাচন পরিচালনা করবে নির্বাচন কমিশন। সেখানে তাদের সহযোগিতা করবে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ। এটা তাদের নৈতিক দায়িত্ব। প্রধানমন্ত্রী তাদের এমন নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে। বিএনপি যতই আন্দোলন–সংগ্রাম করুক, তা রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করা হবে।
দেশে দুর্ভিক্ষ আসার কোনো সুযোগ নেই মন্তব্য করে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘দেশে প্রচুর পরিমাণ খাদ্যশস্য উৎপাদন হচ্ছে। দেশ কৃষিক্ষেত্রে অনেক এগিয়েছে। আমাদের কৃষকেরা এখন খাদ্য উৎপাদনে অনেক অনেক সক্রিয়। বিশেষ করে চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর অঞ্চলের কৃষকেরা ভুট্টা ও সবজি চাষে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন। সরকার রাসায়নিক সারে ভর্তুকি দিচ্ছে। কৃষকদের জন্য সরকার সব ধরনের সুযোগ তৈরি করতে কাজ করছে।’
এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, জেলা প্রশাসক মনসুর আলম খান, পুলিশ সুপার রাফিউল আলম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেকসহ সরকারি কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতারা। পরে আব্দুর রাজ্জাক মেহেরপুর জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে কৃষিপ্রযুক্তি ও কৃষিঋণ মেলার উদ্বোধন করেন।