শিক্ষার্থীকে গুলি করা সেই শিক্ষকের বাসায় এত অস্ত্র!

0
100
সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজে অভিযুক্ত শিক্ষক ডা. রায়হান শরীফের বাসা থেকে উদ্ধার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সকালে সিরাজগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সিরাজুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ঘটনার পর পুলিশ ক্যাম্পাসে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে পুলিশ। রাতেই অভিযুক্ত শিক্ষক রায়হান শরিফকে আটক করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় দুটি সিলভার ও গোল্ড কালারের বিদেশি পিস্তল ও ৮১ রাউন্ড গুলিসহ বেশ কয়েকটি ধারালো ছুরি।

পিস্তল দুটির বৈধ কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি ওই শিক্ষক। তার কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া দুটি পিস্তলই অবৈধ বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডাক্তার আমিনুল ইসলাম চৌধুরী জানান, ঘটনার পর রাতে বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে অভিযুক্ত শিক্ষককে বহিষ্কারের জন্য সুপারিশের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। তবে শিক্ষক রায়হান শরিফ ক্লাসে পিস্তল নিয়ে আসার বিষয়ে কোনো শিক্ষার্থী আগে জানাননি বলেও জানান তিনি।

শিক্ষক ডা. রায়হান শরীফ

এর আগে এ ঘটনা তদন্তে সোমবার (৪ মার্চ) রাতে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. বায়জীদ খুরশীদকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি করা হয়। কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন- অধিদফতরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. মো. মহিউদ্দিন মাতুব্বর এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন।

উল্লেখ্য, সোমবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজে ক্লাস চলার সময় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পিস্তল নিয়ে হঠাৎ শিক্ষক রায়হান শরিফ ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আরাফাত আমিন তমালের ডান পায়ে গুলি করেন। পরে তার চিৎকার শুনে সহপাঠীরা এসে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করেন।

ক্লাস চলার সময় ছাড়াও প্রায় সময় তিনি পিস্তল নিয়ে চলাফেরা করতেন বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।

ঘটনার পর ওই শিক্ষকের বিচার চেয়ে মেডিকেলের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে শিক্ষক রায়হানকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.