পবিত্র রমজান ও ঈদের ছুটি শেষ না হতেই প্রচণ্ড দাবদাহের কারণে এক সপ্তাহ ছুটি দেওয়া হয়েছিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয়। দীর্ঘ ছুটি শেষে আজ রোববার প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলেছে।
তবে প্রচণ্ড দাবদাহ চলমান থাকায় কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে শিক্ষা বিভাগ। এর মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাসের সময় কমিয়ে আনা হয়েছে। এক পালায় (শিফটে) পরিচালিত বিদ্যালয়গুলো প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলছে। আর দুই পালার বিদ্যালয়গুলোর প্রথম পালা সকাল ৮টা থেকে সকাল সাড়ে ৯টা এবং দ্বিতীয় পালা সকাল পৌনে ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলবে।
তবে প্রাক্-প্রাথমিক শ্রেণির কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধই থাকবে। আর দাবদাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলিও (প্রাত্যহিক সমাবেশ) বন্ধ থাকবে।
এর আগে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) আওতাধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় আগামী শনিবার থেকেও ক্লাস নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তবে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর বিষয়ে নতুন কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। অর্থাৎ প্রাথমিকে শনিবার আগের মতোই সাপ্তাহিক ছুটি থাকছে।
ঢাকা হাজারীবাগ এলাকার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন প্রধান শিক্ষক আজ জানিয়েছেন, তাঁদের বিদ্যালয়ে উপস্থিতির হার আনুমানিক ৭০ শতাংশ। নির্দেশনা অনুযায়ী প্রায় সব শিক্ষার্থী পানির বোতল নিয়ে এসেছে। তাদের প্রতি ক্লাসের পর প্রয়োজনমতো পানি পান করতে বলা হয়েছে।
এই প্রধান শিক্ষক বলেন, আগে ঢাকা মহানগরীর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো সকাল সাড়ে সাতটা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত চলত। এখন সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলবে। আগে সাড়ে সাতটা থেকে শুরু হলেও ক্লাস শুরু হতো আটটা থেকে। কারণ, প্রথমে অ্যাসেম্বলি হতো। এখন অ্যাসেম্বলি (প্রাত্যহিক সমাবেশ) বন্ধ।
মাউশির আওতাধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো আজ থেকে খুললেও দাবদাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে। শ্রেণি কার্যক্রমের যে অংশটুকু শ্রেণিকক্ষের বাইরে পরিচালিত হয়ে থাকে এবং সূর্যের আলোর সংস্পর্শে আসতে হয়, সেসব কার্যক্রম সীমিত থাকবে।