শতক ছুঁয়েছে দেশি ভালো মানের পেঁয়াজের দাম। রাজধানীর এলাকাভিত্তিক ছোট ছোট বাজারে ও মহল্লার মুদি দোকানে ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে এ মানের পেঁয়াজ।
অন্যদিকে ভারতীয় পেঁয়াজের দামও বেড়েছে অস্বাভাবিক। এ পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা দরে। তবে বড় বাজারগুলোতে এ দরের চেয়ে প্রায় ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে মসলাজাতীয় পণ্যটি।
মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচা, তেজকুনীপাড়া ও নাখালপাড়া এলাকায় দেশি ভালো মানের পেঁয়াজ ৯৫ থেকে ১০০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। আর ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা দরে।
তবে কারওয়ান বাজারে তুলনামূলক কিছুটা কম দরে বিক্রি হয়েছে। এ বাজারে দেশি ভালো মানের পেঁয়াজ ৮০ থেকে ৯০ এবং ভারতীয় ভালো মানের পেঁয়াজ ৬৫ থেকে ৭৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্যমতে, এক মাসে দেশি পেঁয়াজের দাম ৩০ ও আমদানি করা পেঁয়াজের দাম ৬১ শতাংশ বেড়েছে।
তেজকুনীপাড়ার মুদি দোকান জাকির জেনারেল স্টোরের বিক্রয়কর্মী নাইমুল ইসলাম বলেন, ‘দুই দিন আগে হঠাৎ কারওয়ান বাজারে পাইকারিতে দাম বেড়ে গেছে ১৫ টাকার মতো। সেখান থেকে আনতে আমাদের ভ্যান ভাড়া লাগে। এখানকার ক্রেতারা একসঙ্গে ৫ বা ১০ কেজি কেনেন না। এক-দুই কেজি করে কেনেন। ১০০ টাকার কমে বিক্রি করলে পোষায় না।’
গত শনিবার ভারত নিজ দেশে দাম স্থিতিশীল রাখতে পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। এরপরই দেশের পাইকারি বাজারে বাড়তে থাকে নিত্যপণ্যটির দাম, যার প্রভাব পড়েছে খুচরা পর্যায়ে। দাম বাড়ার দৌড়ে দেশি পেঁয়াজের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে ভারতীয় পেঁয়াজ। গত পাঁচ-ছয় দিনে আমদানি করা এ পেঁয়াজের দাম বেড়েছে দ্বিগুণের কাছাকাছি।
পাঁচ-ছয় দিন আগে ভারতীয় পেঁয়াজ খুচরায় বিক্রি হয়েছিল ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়। দেশি পেঁয়াজ আগে থেকেই বাড়তি দরে বিক্রি হলেও ভারতীয় পেঁয়াজের দামের প্রভাব পড়েছে এর ওপর। চার-পাঁচ দিন আগে দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হয়েছিল ৭০ থেকে ৮০ টাকা দরে।
ঢাকার শ্যামবাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মাজেদ বলেন, ভারত রপ্তানিতে শুল্ক আরোপ করার কারণে দেশের বাজারে প্রভাব পড়েছে। কারণ, দেশের আমদানিকারকদের এখন ৪০ শতাংশ বেশি দাম দিয়ে আমদানি করতে হচ্ছে।