শওকত মাহমুদকে বিএনপি থেকে বহিস্কার

0
151
শওকত মাহমুদ

দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বিএনপির সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে দলটির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদকে। তিনি জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। এছাড়া বিএনপির সমর্থিত সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়কও ছিলেন।

মঙ্গলবার দুপুরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক মো. তাইফুল ইসলাম টিপুর পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। ২০১৬ সাল থেকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন শওকত মাহমুদ।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে লিপ্ত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিস্কার করা হয়েছে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শওকত মাহমুদ সমকালকে বলেন, ‘এটি দুঃখজনক। এর বাইরে এই মুহূর্তে আর কিছু বলতে চাই না।’

এর আগে গত বছরের ৬ এপ্রিল দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে তাকে একবার কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। ওই বছরের ২৭ মার্চ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘পেশাজীবী সমাজ’ ব্যানারে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এক সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব স্বাক্ষরে শওকত মাহমুদকে নোটিশটি দেওয়া হয়।

তারও আগে ২০১৯ সালে ১৩ ডিসেম্বর দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে শওকত মাহমুদকে কারণ দশানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। সেবার বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে একটি সমাবেশকে কেন্দ্র করে তাকে এবং আরেক ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদকে ওই নোটিশ দেয়া হয়। তবে তারা শোকজের জবাব দেওয়ার পর তা সুরাহা হয়ে গিয়েছিল।

শওকত মাহমুদ বিএনপির পঞ্চম জাতীয় কাউন্সিলে বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা হিসেবে মনোনীত হন। পরে ৬ষ্ঠ কাউন্সিলে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মনোনীত হয়েছেন।

এছাড়া কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা বিএনপির আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.