কাতারে গোলরক্ষকরা যে রকম দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করছেন, তাতে এই বিশ্বকাপ গোলরক্ষকদেরও হতে পারে। বিশ্বকাপের এই সেরা গোলরক্ষকদের মধ্যে অন্যতম দু’জন হলেন আর্জেন্টিনার এমিলিয়ানো মার্টিনেজ ও ক্রোয়েশিয়ার ডোমিনিক লিভাকোভিচ। তাঁরা দু’জন কোয়ার্টার ফাইনালে টাইব্রেকারে দুর্দান্ত পারফর্ম করে দলকে সেমিফাইনালে তুলেছেন। বিশ্বকাপের সম্ভাব্য সেরা গোলরক্ষক হওয়ার দৌড়ে এ দুজন ভালোভাবেই রয়েছেন। সেমিফাইনালে তাঁদের চেষ্টা থাকবে একে অন্যকে ছাপিয়ে যাওয়ার।
বিশ্বকাপ শুরুর ছয় মাস আগেই এমিলিয়ানো মার্টিনেজ ঘোষণা করেছিলেন তিনি বিশ্বকাপের সেরা গোলরক্ষক হতে চান। সঙ্গে এটাও বলেছিলেন মেসির শেষ বিশ্বকাপে, মেসির জন্য প্রয়োজনে জীবন বাজি রেখে হলেও বিশ্বকাপ জিততে চান তাঁরা। নিজের কথা ভালোভাবেই রেখেছেন মার্টিনেজ। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে প্রথম দুটি শট আটকে দিয়ে লড়াই থেকে ডাচদের একেবারে ছিটকে দেন তিনি। শুধু ডাচদের বিপক্ষে ম্যাচেই নয়, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শেষ ষোলোর ম্যাচেও আর্জেন্টিনার জয়ের নায়ক ছিলেন মার্টিনেজ। ম্যাচের একদম শেষ দিকে ফাঁকা পোস্টে নেওয়া অস্ট্রেলিয়ান গারাং কুয়োলের নিশ্চিত গোল আটকে দেন তিনি।
ক্ষিপ্রতার পাশাপাশি স্ট্রাইকারকে দারুণভাবে পড়তে পারার দক্ষতা দিয়েই নিজেকে বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা গোলকিপার হিসেবে প্রমাণ করেছেন। আর্জেন্টিনার সর্বশেষ কোপা আমেরিকার শিরোপা জয়েও দারুণ ভূমিকা রেখেছিলেন মার্টিনেজ। জিতেছিলেন টুর্নামেন্টের সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার। ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে সেমিফাইনালেও আলবেসেলেস্তে সমর্থকদের দারুণ কিছুর প্রত্যাশা থাকছে মার্টিনেজের ওপর।
অন্যদিকে ব্রাজিলের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন ডোমিনিক লিভাকোভিচ। পুরো ম্যাচে ১১টি সেভ করেন তিনি, যা বিশ্বকাপের ইতিহাসে এক ম্যাচে কোনো গোলকিপারের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সেভ। জাপানের বিপক্ষে শেষ ষোলোর ম্যাচে টাইব্রেকারে তিনটি ও ব্রাজিলের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে রদ্রিগোর পেনাল্টি আটকে আরও একটি রেকর্ডে নাম লিখিয়েছেন দিনামো জারগেভের এই গোলরক্ষক।
এক বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ চারটি পেনাল্টি শট আটকানো তৃতীয় গোলরক্ষক লিভাকোভিচ। ক্যারিয়ারের সেরা ফর্মে থাকা এই ক্রোয়েশিয়ানকে পরাস্ত করতে তাই স্পেশাল হোমওয়ার্ক করতেই হচ্ছে মেসিদের। এই দুই সেরা গোলরক্ষকের লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত আলোটা নিজের দিকে টেনে নিবেন কে?