বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১০ টাকা কমিয়ে ১৮৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া খোলা তেল ৯ টাকা কমিয়ে ১৬৭ টাকা ও পাম ওয়েল ২ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩৩ টাকা।
রোববার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তবে কবে থেকে এই দাম কার্যকর হবে, সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে, ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দাম কমানোর দিনক্ষণ জানাবে।
বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে ১০ টাকা কমিয়ে ১৮৯ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল কেজিতে ১০ টাকা কমিয়ে ১৬৭ টাকা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে; যা আগে প্রতি লিটার যথাক্রমে ১৯৯ টাকা ও ১৭৭ টাকা ছিল। খোলা পাম তেল প্রতি লিটার ১৩৫ টাকা থেকে ২ টাকা কমিয়ে ১৩৩ টাকা এবং বোতলজাত সুপার পাম তেল লিটারে ১৬৭ টাকা থেকে ২ টাকা কমিয়ে ১৬৫ টাকা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
আজ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের ৭ম সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেই সভার পর বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ সয়াবিন ও পাম তেলের দাম কমানোর সিদ্ধান্তের কথা জানান।
বৈঠকের পর বাণিজ্যসচিব সভার প্রসঙ্গে বলেন, অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে; বিশেষ করে সয়াবিন তেল, পেঁয়াজ, আদা, রসুনের বাজারমূল্য নিয়ে। এসব পণ্যের বর্তমানে আমদানি পরিস্থিতি কেমন, দাম কেমন হওয়া উচিত-এসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যে আমদানির অনুমতি দেওয়ার পরে পেঁয়াজের দাম কমেছে। এখন সয়াবিন তেলের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। শিগগিরই আমদানিকারকেরা দাম কমাবেন।
বৈঠকের উপস্থাপনার তথ্যানুসারে, ২০২২ সালের ৮ জুনের তুলনায় ২০২৩ সালের ৮ জুন বিশ্ব বাজারে অপরিশোধিত সয়াবিন তেলের দর ৪৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ কমেছে। পাম তেলের দাম ৪৮ দশমিক ৬৯ শতাংশ কমেছে। কিন্তু দেশের বাজারে সেই দাম কমার প্রতিফলন নেই।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, কয়েকটি অত্যাবশ্যকীয় পণ্য যেমন ভোজ্যতেল, আটা, ময়দা ও পেঁয়াজের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক বাজারে যে হারে মূল্য হ্রাস পেয়েছে স্থানীয় বাজারে তার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না। তবে মশুর ডাল ও রসুনের আন্তর্জাতিক মূল্যের সঙ্গে স্থানীয় বাজার মূল্যের সম্পর্ক ইতিবাচক। আদা ও চিনির আন্তর্জাতিক বাজার মূল্য অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
সেই সঙ্গে পর্যবেক্ষণে আরও বলা হয়েছে, গত এক বছরে স্থানীয় বাজারে আমদানি ব্যয় পরিশোধে ব্যবহৃত বৈদেশিক মুদ্রার মূল্য ২৫ শতাংশ বৃদ্ধিসহ গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত এক বছরে আদা ও চিনি ছাড়া সব পণ্যের দামই আন্তর্জাতিক বাজারে কমেছে।