সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, পুলিশ রাস্তায় পড়ে ছিল, সেই ছবি মিডিয়া দেখায়নি। তারা সরকারি গাড়ি পুড়িয়ে ফেলবে, সেই ছবি মিডিয়া দেখাবে না। এমন আচরণ মিডিয়া কেন করছে? মিডিয়ার একটি অংশ কেন একটি পক্ষ নিচ্ছে? এটা তাঁর অভিযোগ। কক্সবাজারে এত বড় সমাবেশ, মিডিয়া ঠিকভাবে দেখায়নি। মিডিয়ার কাছে তাঁরা প্রত্যাশা করেন, মিডিয়া যা দেখবে, তা দেখাবে। তাঁরা সত্যকে তুলে ধরার আহ্বান জানান।
সেতুমন্ত্রী বলেন, রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশ তাঁরা করতে দেবেন না। জনগণকে ভোগান্তি দেওয়া যাবে না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, লন্ডন থেকে ফরমাশ আসে। আর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তাঁর চাকরি রক্ষার জন্য ফরমাশ পালন করেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা সরকারি দল। মাথা ঠান্ডা রাখতে হবে। আমাদের যেন কোনো বদনাম না হয় আক্রমণকারী হিসেবে।’
সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা সব বিভাগ, জেলা, উপজেলা, থানা, ওয়ার্ডে সতর্ক অবস্থায় থাকবেন। আক্রমণ তাঁরা করবেন না। তবে আক্রান্ত হলে সমুচিত জবাব দেওয়া হবে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের বিদেশি বন্ধুরা একতরফাভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন। এটা উচিত নয়, এটা কূটনৈতিক শিষ্টাচার নয়।’
ঢাকা, যশোর, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশে বিপুল মানুষের উপস্থিতির কথা উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বিদেশিদের উদ্দেশে বলেন, ‘এটা দেখে আপনারা কিছুই কি বুঝতে পারছেন না? দেশের জনগণ কী চায়, একটুও বুঝছেন না!’
বিএনপি ষড়যন্ত্রের চোরাগলি দিয়ে সরকারকে হটানোর চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক শক্তির হাতে আমরা দেশকে তুলে দিতে পারি না। এটা আমাদের শপথ।’
১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির গণসমাবেশের কর্মসূচি আছে। এই গণসমাবেশ কোথায় হবে, তা নিয়ে বিতর্ক-আলোচনার মধ্যেই গতকাল বিকেলে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে নয়াপল্টন রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সংঘর্ষে মকবুল আহমেদ নামের একজন নিহত হন। আহত হন বিএনপির অর্ধশত নেতা-কর্মী।