লাল চাঁদ হত্যায় এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার ৭, চিরুনি অভিযান শুরু হচ্ছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

0
20
সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আইনশৃঙ্খলা-বিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ রোববার সকালে,ছবি: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষা ও নির্বাচনপূর্ব স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে আজ রোববার থেকে বিশেষ চিরুনি অভিযান শুরু হচ্ছে। এই অভিযান পরিচালনার কথা জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

আজ সকালে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আইনশৃঙ্খলা-বিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘রাজধানীর মিটফোর্ডে যে হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক ও বর্বরোচিত। সভ্য সমাজে এমন ঘটনা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’

মিটফোর্ডের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ১৯ জন আসামির মধ্যে এখন পর্যন্ত ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান তিনি। এই মামলার তদন্তে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো শিথিলতা ছিল কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘অপরাধী যেই হোক না কেন, রাজনৈতিক পরিচয়ে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। আইন সবার জন্য সমান।’তিনি জানান, মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ডের বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। খুলনায় সম্প্রতি আরেকটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায়ও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘মিটফোর্ডের ঘটনায় কেউই পুলিশের ‘ট্রিপল নাইন’ নম্বরে ফোন করেনি। এমনকি পাশেই আনসার সদস্যরা থাকলেও তাঁদের কেউ কিছু জানাননি।’

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, দেশে খুন, চুরি, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, নারী নির্যাতন, সন্ত্রাস, মাদক চোরাচালানসহ নানা অপরাধ বেড়ে যাওয়ায় সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে। এ লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়মিত অভিযানের পাশাপাশি এখন বিশেষ চিরুনি অভিযান পরিচালনা করবে।

আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে বলেছে জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। সেই লক্ষ্যে নির্বাচনপূর্ব আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে চিরুনি অভিযান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

গত বুধবার রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় ভাঙারি পণ্যের ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে (৩৯)। হত্যার আগে ডেকে নিয়ে তাঁকে পিটিয়ে এবং ইট-পাথরের টুকরা দিয়ে আঘাত করে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশ থেঁতলে দেওয়া হয়। একপর্যায়ে তাঁকে বিবস্ত্র করা হয়। তাঁর শরীরের ওপর উঠে লাফায় কেউ কেউ। এ ঘটনায় যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা-কর্মীদের সম্পৃক্ততার কথা জানা গেছে। গতকাল সন্ধ্যায় এই মামলার দুই আসামিকে বহিষ্কারের কথা জানিয়েছে জাতীয়তাবাদী যুবদল। হত্যা মামলার আরও দুই আসামিকে নিজেদের সংগঠন থেকে বহিষ্কার করেছে ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.