সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ) এক প্রতিবেদনে বলা হয়, র্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পর বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যা ও গুমের ঘটনা নাটকীয়ভাবে কমেছে। এ থেকে বোঝা যায়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ক্ষমতার অপব্যবহার নিয়ন্ত্রণে আনার সক্ষমতা রয়েছে বাংলাদেশ সরকারের।
সহকারী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু বলেন, ‘আমাদের মধ্যে খোলামেলা আলোচনা হয়েছে। আমরা গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কোনো বিষয়ে সমস্যা থাকলে আমরা আলোচনা করি, পরামর্শ দিতে পারি। আমরা মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সমুন্নত রাখায় বিশ্বাস করি। বাংলাদেশের মতো অংশীদারদের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করি।’
ডোনাল্ড লু বলেন, ‘আমি এখানে এসেছি দুই দেশের বন্ধুত্বকে শক্তিশালী করতে, যখন বর্তমান বিশ্বশান্তি ও ন্যায়বিচারের জন্য সংগ্রাম করে চলছে।’ সহকারী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু আরও বলেন, ‘শ্রমিক অধিকারের বিষয়ে যে আলোচনা হয়েছে, তা নিয়ে আমরা গর্ব বোধ করি। শ্রম অধিকারের বিষয়টি আমরা কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি, শ্রম অধিকারের মান উন্নয়নের বিষয়ে কীভাবে কাজ করতে পারি, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে একে অপরকে সহযোগিতা করার বিষয়ে আমার আত্মবিশ্বাস রয়েছে।’
ডোনাল্ড লু বলেন, ইন্দো–প্যাসিফিক কৌশল (আইপিএস) নিয়ে চমৎকার আলোচনা হয়েছে। এটি কোনো ক্লাব নয়, বরং একটি কৌশল।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আমাদের মধ্যে গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে। কীভাবে সামনের ৫০ বছর সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি, সেটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমাদের মধ্যে যদি কোনো কিছু নিয়ে সমস্যা থাকে, তবে আমরা আলোচনা করব। যদি গঠনমূলক পরামর্শ আসে, আমরা অবশ্যই তা গ্রহণ করব। এর নমুনা আমরা দেখিয়েছি।
আমাদের যদি কোনো দুর্বলতা থাকে, তা আমরা দূর করব।’ আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আমরাও অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চাই। আমার দল আওয়ামী লীগ সব সময় গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ক্ষমতায় এসেছে। ব্যালটের মাধ্যমে এসেছে, বুলেটের মাধ্যমে নয়। আমাদের মধ্যে খোলামেলা আলোচনা হয়েছে।’
পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘আমাদের মধ্যে বেশ কয়েকটি বৈঠক হয়েছে। আমি নিজে খোলামেলা আলোচনা করেছি। বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শ্রমপরিস্থিতি, নিষেধাজ্ঞা, মানবাধিকার, গণতন্ত্র, উন্নয়ন, সহযোগিতা, ইন্দো-প্যাসিফিক নিয়ে আমাদের চিন্তাভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’
মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘গত বছর মতো এবারও আমাদের মধ্যে ঐকমত্য হয়েছে, আমরা একটি সময়সূচি ধরে চলমান মেকানিজমের মাধ্যমে লক্ষ্য অর্জনের জন্য সম্পর্ককে পরের ধাপে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করব। আমাদের যে সম্পদ ও প্রক্রিয়া আছে, সেগুলো ব্যবহার করে সম্পর্ককে পরের ধাপে উন্নতি করব।’