স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, ‘মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী মাঝেমধ্যেই রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোয় ঢুকছে এবং হত্যাকাণ্ড ঘটাচ্ছে। এই বিছিন্নতাবাদীরা যেন সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ করতে না পারে সেজন্য আমরা সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করছি।’
শুক্রবার রাজধানীর নটর ডেম কলেজে উত্তরবঙ্গ আদিবাসী ফোরাম আয়োজিত এক আলোচনা সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘মিয়ানমার সীমান্তের কিছু অংশ অরক্ষিত রয়েছে। নাফ নদীতে কয়েকটি চরের মতো জায়গাও রয়েছে, যেটি নো ম্যানস ল্যান্ড। সেখানে সন্ত্রাসীরা অভয়ারণ্য তৈরি করেছে। আমরা সেই জায়গাগুলোর জন্য নিরাপত্তা বাড়াচ্ছি। এরই মধ্যে দুটি হেলিকপ্টার কিনেছি, পুরো সীমান্তে সেন্সর লাগাচ্ছি। এ ধরনের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ব্যবস্থা নিচ্ছি। যে সমস্যা সামনে আসছে, সেটার সমাধান করছি। আমাদের একজন সৈনিককেও তারা হত্যা করেছে।’
মিয়ানমারে শুধু আরাকান আর্মির মতো বিছিন্নতাবাদী নেই; বরং কুকি-চিনসহ প্রায় ৩০টি গোষ্ঠী সব সময় সংঘর্ষে লিপ্ত বলে উল্লেখ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পেও হয়তো সন্ত্রাসীদের দু’চারজন অনুপ্রবেশ করেছে। তাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়ে থাকতে পারে। এখানে কে নেতৃত্ব দেবে, সেটা নিয়ে সংঘর্ষ হচ্ছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গোলাগুলিতে পাঁচ জন নিহত হওয়ার বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানতে হবে।
আইসিসির প্রধান কৌশলী করিম খান রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের পরদিনই পাঁচ রোহিঙ্গা হত্যার ঘটনা ঘটল উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা মনে করি, রোহিঙ্গারা যত তাড়াতাড়ি তাদের দেশে ফেরত যায় ততই তাদের এবং আমাদের জন্য মঙ্গল।’