গত মৌসুমটা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের জন্য ছিল উত্থান–পতনে ঠাসা। মাঠের ফুটবলে আগের মৌসুমগুলোর চেয়ে ভালো করলেও মাঠের বাইরে কিছু বিব্রতকর ঘটনাও দেখতে হয়েছে ক্লাবটিকে। বিশেষ করে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সঙ্গে এরিক টেন হাগের বিরোধকে ঘিরে বারবার উত্তপ্ত হয়েছে পরিস্থিতি। শেষ পর্যন্ত মাঝ মৌসুমেই ক্লাব ছাড়ার ঘোষণা দেন রোনালদো। ক্লাবের ইতিহাসে অন্যতম সেরা এই তারকাকে ছাড়া অবশ্য মৌসুমটা তুলনামূলক ভালোভাবেই শেষ করেছে ইউনাইটেড।
সেরা চারে মৌসুম শেষ করে জায়গা করে নিয়েছে চ্যাম্পিয়নস লিগেও। এখন নতুন মৌসুমকে সামনে রেখে দল গড়ায় মনোযোগ দিচ্ছেন টেন হাগ। তবে মালিকানা–সংক্রান্ত জটিলতার কারণে অল্প বাজেট নিয়ে দল গোছাতে হচ্ছে ডাচ কোচকেও। পরিস্থিতি খুব একটা অনুকূল না থাকলেও টেন হাগের চোখ ১০ মিলিয়ন ইউরোর এক ফুটবলারের দিকে। আতালান্তার এই ড্যানিশ স্ট্রাইকার রাসমুস হয়লুন্দকে মূলত রোনালদোর বিকল্প হিসেবে আনতে চান টেন হাগ।
গারনাচোর জন্মদিনে এ কোন মেসি-রোনালদো
দলবদলের শুরুতে এরই মধ্যে চেলসি মিডফিল্ডার ম্যাসন মাউন্টকে দলে ভেড়ানোর পথে অনেক দূর এগিয়ে গেছে ইউনাইটেড। তাঁর জন্য ‘রেড ডেভিল’দের খরচ হবে ৬ কোটি ইউরো। এরপরও ইংলিশ ফুটবলের অন্যতম সফল দলটির ফরোয়ার্ড লাইনে কিছু ঘাটতি থেকেই যাবে। জানুয়ারিতে বার্নলি থেকে ধারে আসা ভট ওয়েগহর্স্টকেও ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। যে কারণে দলবদলে বিকল্প খেলোয়াড় আনার কথা ভাবছে ক্লাবটি।
এরই মধ্যে হ্যারি কেইনের জন্য মরিয়া হয়ে চেষ্টা করছে ইউনাইটেড। তবে টটেনহামের অনড় অবস্থান দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে বেশ। প্রথমত কেইনকে ছাড়তে চায় না লন্ডনের ক্লাবটি। আর ছাড়লেও কেইন ইংল্যান্ডের কোনো ক্লাবে খেলুক, তা নাকি চান না ক্লাবমালিক ড্যানিয়েল লেভি। যে কারণেই ক্লাবটি হাত বাড়িয়েছে আতালান্তার তরুণ স্ট্রাইকার হয়লুন্দের দিকে। এরই মধ্যে আতালান্তার সঙ্গে কথাও শুরু করেছে তারা। তবে ২০ বছর বয়সী ডেনিস তরুণের গায়ে ১০ কোটি ইউরোর ‘প্রাইস ট্যাগ’ লাগিয়ে রেখেছে আটালান্টা।
রিয়াল–ইউনাইটেড নয়, ৭ কোটি ইউরোতে কেইন কি বায়ার্নে যাচ্ছেন
ইউনাইটেড নাকি এর আগে ৪ কোটি ইউরোর প্রস্তাব দিয়ে প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। এবার নাকি তারা ৫ কোটি ইউরোর প্রস্তাব নিয়ে আটালান্টার কাছে যাবে তারা। ইতালির ক্লাবটি অবশ্য ৬ কোটি ইউরোর নিচে কোনো প্রস্তাব গ্রহণ করবে না। এখন দর–কষাকষিতে ইউনাইটেড শেষ পর্যন্ত সফল হতে পারে কি না, সেটাই দেখার অপেক্ষা। টাকার অঙ্ক বেড়ে গেলে অবশ্য ইউনাইটেডকে খেলোয়াড় বিক্রির পথেও হাঁটতে হতে পারে।