রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশ করা মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল: আইনমন্ত্রী

0
188
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক

‘সংবিধানে উল্লেখ রয়েছে, রাস্তাঘাট বন্ধ করে কোনো জনসমাবেশ করা যাবে না। তাই রাস্তাঘাট বন্ধ করে সভা-সমাবেশ করা মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল। কেউ কেউ মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে। যারাই মানবাধিকার লঙ্ঘন করবে তাদেরকেই আইনের আওতায় এনে বিচার করা হবে।’

শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভা শেষে বেরিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

মন্ত্রী বলেন, যাদের দেশে সবচেয়ে বেশি মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয় তারাই বাংলাদেশের কিছু কিছু বিষয় নিয়ে হস্তক্ষেপ করে। এছাড়া যারা বিদেশে বসে মানবাধিকার লঙ্ঘনের কাজে যুক্ত রয়েছে তাদের ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রেও সহযোগিতা করে না।

আইনমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রদূতরা যখন কথা বলেন তখন ওই দেশের সঙ্গে তাদের বন্ধুত্ব, গভীরতা ও দেশের পরিস্থিতি বিবেচনা করে সুচিন্তিতভাবে কথা বলা উচিত। বিদেশিদের এমনভাবে কথা বলা উচিত যেন বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকে। ভিয়েনা কনভেনশনে এটাই লেখা আছে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর অধিকার ক্ষুণ্ন হওয়ার বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ প্রকাশের সঙ্গে একমত নয় বাংলাদেশ।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। সেক্ষেত্রে সরকার কোনো হস্তক্ষেপ করে না এবং করবেও না।

বিএনপির গণসমাবেশ প্রসঙ্গে আনিসুল হক বলেন, তাদের গণসমাবেশ করতে কোনো বাধা নেই, কিন্তু তারা গণসমাবেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করে। এগুলো বন্ধ করতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। সরকার সব ধরনের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নিয়েছে।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নতুন চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সার্বক্ষণিক সদস্য মো. সেলিম রেজা প্রমুখ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.