খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার জন্য স্থায়ী জামিন প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, যেকোনো সাজাপ্রাপ্ত আসামি রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইতে পারেন, এটা তার সাংবিধানিক অধিকার। তবে প্রধানমন্ত্রী ফৌজদারী কার্যবিধি অনুযায়ী তাকে যে চিকিৎসার সুবিধা দিয়েছেন সেটা পুনর্বিবেচনার আর কোনো সুযোগ নেই।
বুধবার সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
আনিসুল হক বলেন, খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার জন্য মতামত রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নয়, আইনি প্রয়োগ।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে তার পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে চিকিৎসার জন্য শর্তযুক্ত মুক্তি দেওয়া হয়েছে। যা এখনো অব্যাহত রয়েছে। ফৌজদারী কার্যবিধির ৪০১ এর (১) ক্ষমতাবলে সরকারের নির্বাহী আদেশে সেটা পাসড অ্যান্ড ক্লোজড হয়ে গেছে। সেটা খোলার আর কোনো অবকাশ নেই।
আইনমন্ত্রী বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে আমাকে নিয়ে যা বলেছেন তা সব মিথ্যা, ভিত্তিহীন। একজন আইনজীবী হিসেবে আমি সংবিধান ও ফৌজদারী কার্যবিধি জানি। ফৌজদারি কার্যবিধিতে যেভাবে বলা আছে সেভাবেই খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার সুবিধা দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একটি রাজনৈতিক দলের মহাসচিব। ভালো করে জেনে বুঝেই তার বক্তব্য দেওয়া উচিত ছিল। জনগণ তার কাছ থেকে কোনো ধরনের মিথ্যা তথ্য আশা করেন না। আমাদেরও প্রত্যাশা থাকবে তিনি আর জনগণকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করবেন না।
এ সময় ঢাকা দক্ষিণের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ও আইন সচিব মোহাম্মদ গোলাম সারওয়ার উপস্থিত ছিলেন।