ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, নতুন সরকারের মন্ত্রিসভার একজন মন্ত্রীর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস দেখা করেছেন এবং ব্যবসা, বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান, বিজ্ঞান-প্রযুক্তি-উদ্ভাবন নিয়ে আলোচনা করেছেন। এ থেকে বোঝা যায় বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক যথেষ্ট ভালো। আগামী পাঁচ বছর এই সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে।
মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে প্রতিমন্ত্রীর দপ্তরে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নতুন মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে পিটার হাস নানা ক্ষেত্রে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে কাজ করবে, তা নিয়ে কথা হয়েছে।
পলক বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আমাদের সফটওয়্যার ও ফ্রিল্যান্সারদের আউটসোর্সিংয়ের সবচেয়ে বড় গন্তব্য। আমাদের সফটওয়্যার বেশি রপ্তানি হয় দেশটিতে। কীভাবে এটি আরও বাড়াতে পারি, সেটা নিয়ে কথা হয়েছে।
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে যুক্তরাষ্ট্র থেকে কী ধরনের সহযোগিতা পেতে পারি এবং এক সঙ্গে কীভাবে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে পারি, রপ্তানি ও বিনিয়োগ বাড়ানো এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির বিষয়ে কথা হয়েছে। তবে নির্বাচন নিয়ে পিটার হাসের সঙ্গে কথা হয়নি বলেন জানান পলক।
এদিকে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সঙ্গে বৈঠক করেন প্রতিমন্ত্রী পলক। বৈঠকে নিবন্ধনবিহীন মোবাইল ফোন বন্ধে পদক্ষেপ গ্রহণে বিটিআরসিকে নির্দেশ দেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, দেশে উৎপাদিত, সংযোজিত এবং আমদানিকৃত মোবাইল হ্যান্ডসেটের ডাটাবেজ এবং স্বয়ংক্রিয় নিবন্ধনের ব্যবস্থা বিটিআরসিতে রয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী পাঁচ বছরে নির্দিষ্ট কিছু লক্ষ্য নিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের ভিত্তি তৈরিতে টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে রপ্তানি আয় ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং রাজস্ব আয় বাড়ানোর উদ্যোগ গ্রহণ করার বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, ‘পরিচয়’ ভেরিফিকেশন অথেনটিকেশন সার্ভিসের মাধ্যমে সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। ওই সেবাকে আরও সহজলভ্য করতে প্রতিটি ডাটাবেজ একটির সঙ্গে আরেকটির সমন্বয় করা দরকার।
বৈঠকে বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদ, বিটিআরসি’র স্পেকট্রাম বিভাগের কমিশনার প্রকৌশলী শেখ রিয়াজ আহমেদ, ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানসহ বিটিআরসির বিভিন্ন বিভাগের মহাপরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।