দক্ষিণী অভিনেত্রী রাশমিকা মান্দানা। সম্প্রতি সাইবার অপরাধীদের কারণে লজ্জায় মাথা কাটা যাওয়ার অবস্থা তার। অভিনেত্রীর নাম করে ভাইরাল করা হয়েছিল একটি আপত্তিকর ভিডিও। পরে জানা যায়, ভিডিওর সেই নারী রাশমিকা নন। বিষয়টি নিয়ে রীতিমত হৈচৈ পড়ায় এর প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন খোদ অমিতাভ বচ্চন। রাশমিকার রেশ কাটতে না কাটতে এবার ভাইরাল ক্যাটরিনা কাইফের অপত্তিকর ছবি।
ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে, ক্যাটের আসন্ন ছবি ‘টাইগার ৩’-এর প্রচার ঝলক মুক্তি পাওয়ার পরে একটি দৃশ্যে স্নানপোশাকে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। সেই দৃশ্যে শরীরে তোয়ালে জড়িয়ে অন্য এক অভিনেত্রীর সঙ্গে লড়াই করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। এবার সেই দৃশ্যে ক্যাটের ছবির উপরেই চলল কারসাজি। আসল ছবিতে তোয়ালে দিয়ে ঢাকা নায়িকার শরীর। কিন্তু সমাজমাধ্যমের পাতায় ভাইরাল হওয়া ডিপফেক ছবিতে প্রায় অনাবৃত ক্যাটরিনা।
শুধু তাই-ই নয়, ছবিকে চিত্তাকর্ষক করে তুলতে ক্যাটের চেহারাতেও একাধিক পরিবর্তন আনা হয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে আগুনের মতো ছড়িয়ে পড়েছে সেই ছবি। তবে ওই ছবি যে আদপে কৃত্রিম মেধা তথা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই)-এর ফসল, তা স্পষ্ট।
রাশমিকার ডিপফেক ভিডিও সমাজমাধ্যমের পাতায় ভাইরাল হওয়ার পরে আইনি ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছিলেন অমিতাভ বচ্চন ও নায়িকার অনুরাগীরা। ক্যাটের ওই আপত্তিকর ছবির ক্ষেত্রে যদিও এখনও তেমন কোনও দাবি ওঠেনি।
রাশমিকার ক্ষেত্রে ভাইরাল হওয়ার ভিডিওতে দেখা গিয়েছিল, একটি কালো পোশাক পরে লিফ্ট থেকে বেরিয়ে আসছেন অভিনেত্রী। তার পরনের সেই পোশাক বেশ কুরুচিকর। সাধারণত এমন পোশাকে কখনও দেখা যায় না অভিনেত্রীকে।
নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে অভিনেত্রী বলেছেন, ‘আমার যে ডিপফেক ভিডিও ছড়িয়েছে সমাজমাধ্যমে, সেটা নিয়ে কথা বলতে গেলেও ভীষণ খারাপ লাগছে। আমি ব্যথিত। এই ঘটনা আমার কাছে খুবই ভয়ের। শুধু আমার একার জন্য নয়, যাঁরাই সারা ক্ষণ ক্যামেরার সামনে রয়েছেন তাঁদের জন্য। ভাবলেই ভয় করছে, কীভাবে প্রযুক্তির অপব্যবহার করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আজ একজন নারী ও অভিনেত্রী হিসাবে আমি আমার পরিবার, বন্ধু-বান্ধবদের কাছে কৃতজ্ঞ, যারা আমাকে এই সময় সমর্থন করেছেন আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন। কিন্তু ভাবুন, যদি আমি একজন স্কুল-কলেজে পড়া ছাত্রী হতাম! আমার তো মাথা কাজ করত না এই পরিস্থিতিকে সামাল দেওয়ার। আমাদের সকলের উচিত সমষ্টিগত ভাবে এগিয়ে এসে এই ধরনের সমস্যা নিয়ে কথা বলা।