ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে রাখা প্রধানমন্ত্রীর ছবিসংবলিত মেট্রোরেলের অস্থায়ী প্রতিকৃতি ভাঙচুরের পর বামপন্থী ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার ঘটনায় পক্ষে-বিপক্ষে বিবৃতি দিয়েছে ১১টি সংগঠন। গত দুই দিনে (বুধ-বৃহস্পতিবার) এই পাল্টাপাল্টি বিবৃতিগুলো দেওয়া হয়েছে।
বিবৃতিতে টিএসসিভিত্তিক ছয়টি সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ছাত্রলীগের সুরে সুর মিলিয়েছে। এগুলো হলো—ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইটি সোসাইটি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নাট্য সংসদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ব্যান্ড সোসাইটি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদ, জয়ধ্বনি সাংস্কৃতিক সংগঠন ও স্লোগান ৭১।
অন্যদিকে পাঁচটি ছাত্রসংগঠন বাম নেতা-কর্মীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার নিন্দা-প্রতিবাদ জানিয়েছে। এগুলো হলে—ছাত্রদল, ছাত্র ফেডারেশন, ছাত্র অধিকার পরিষদ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট (বাসদ) ও গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি।
সম্প্রতি রাজু ভাস্কর্যের সামনে প্রধানমন্ত্রীর ছবিসংবলিত মেট্রোরেলের অস্থায়ী প্রতিকৃতি রাখে ছাত্রলীগ। মেট্রোরেলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশনের উদ্বোধন সামনে রেখে গত মাসের শেষ দিকে এই প্রতিকৃতি রাখা হয়েছিল। রাজু ভাস্কর্য আড়ালে চলে যাওয়ায় এই প্রতিকৃতি সরিয়ে নিতে অনুরোধ জানিয়েছিল ছাত্র ইউনিয়ন। তবে অনুরোধে সাড়া দেয়নি ছাত্রলীগ।
এর মধ্যে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোর মোর্চা গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের উদ্যোগে ক্যাম্পাসে মশালমিছিল হয়। পরে সমাবেশ করতে রাজু ভাস্কর্যের সামনে গেলে তাঁদের কয়েকজন প্রতিকৃতি ভাঙচুর করেন। পরে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাঁদের পেটান। এতে ৮-১০ জন আহত হন। পরে রাজু ভাস্কর্য কালো কাপড়ে ঢেকে দেয় ছাত্রলীগ। পাশাপাশি ভাস্কর্যের কাঠামোর ওপর একটি ব্যানার সাঁটায় তারা। এতে লেখা—‘সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যে ছাত্র ইউনিয়নের সন্ত্রাসী কার্যক্রম’। মঙ্গলবারের ঘটনার জেরে গতকাল বৃহস্পতিবার ছাত্র ইউনিয়নের চার নেতাকে পেটায় ছাত্রলীগ।
অস্থায়ী প্রতিকৃতি ভাঙচুরের ঘটনাকে ‘ছাত্র ইউনিয়নের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ’ বলে আখ্যা দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত। যাঁরা এ কাজ করেছেন, তাঁদের দ্রুত ক্ষমা চাইতে বলেছেন তিনি।