রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদের পাশাপাশি ৩০টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদেও নির্বাচন হয়েছে। ৩০টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২০ নম্বর ওয়ার্ডে রবিউল ইসলাম বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ায় এই ওয়ার্ডে ভোট হয়নি। বাকি ২৯টি ওয়ার্ডে বুধবার ভোট হয়েছে।
ভোট গ্রহণের পর গণনা শেষে বুধবার রাতে ফল ঘোষণা করেন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন। তিনি মেয়র পদে বিজয়ী প্রার্থীর পাশাপাশি ৩০টি ওয়ার্ডে বিজয়ী কাউন্সিলর প্রার্থীদের নামও ঘোষণা করেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তা জানান, ১ নম্বর ওয়ার্ডে রজব আলী, ২ নম্বর ওয়ার্ডে নজরুল ইসলাম, ৩ নম্বর ওয়ার্ডে কামাল হোসেন, ৪ নম্বর ওয়ার্ডে আশরাফুল ইসলাম বাবু, ৫ নম্বর ওয়ার্ডে কামরুজ্জামান কামরু, ৬ নম্বর ওয়ার্ডে নুরুজ্জামান টুকু, ৭ নম্বর ওয়ার্ডে মতিউর রহমান মতি, ৮ নম্বর ওয়ার্ডে জানে আলম খান জনি, ৯ নম্বর ওয়ার্ডে রাসেল জামান ও ১০ নম্বর ওয়ার্ডে আব্বাস আলী সরদার বিজয়ী হয়েছেন।
তিনি আরও জানান, ১১ নম্বর ওয়ার্ডে আবু বক্কর কিনু, ১২ নম্বর ওয়ার্ডে শরিফুল ইসলাম বাবু, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে আব্দুল মমিন, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে আনোয়ার হোসেন আনার, ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে আব্দুল সোবহান লিটন, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে বেলাল আহমেদ, ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে শাহাদত আলী শাহু, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে শহিদুল ইসলাম পচা, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে তৌহিদুল হক সুমন ও ২০ নম্বর ওয়ার্ডে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রবিউল ইসলাম জয়লাভ করেছেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তা জানান, ২১ নম্বর ওয়ার্ডে নিজাম উল আযীম, ২২ নম্বর ওয়ার্ডে আব্দুল হামিদ টেকন, ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে মাহতাব হোসেন চৌধুরী, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে আরমান আলী, ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে আলিফ আল মাহমুদ লুকেন, ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে আখতারুজ্জামান কোয়েল, ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে মনিরুজ্জামান মনি, ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে আশরাফুল হোসেন বাচ্চু, ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে জাহের হোসেন সুজা এবং ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে মো. আলাউদ্দিন জয়ী হয়েছেন।
বুধবার সকাল ৮টা থেকে রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, যা একটানা চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এই সিটিতে মোট ভোটার ৩ লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ জন। এই নির্বাচনে মোট ভোট পড়েছে ৫৬ দশমিক ২০ শতাংশ।
নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ১ লাখ ৬০ হাজার ২৯০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
প্রসঙ্গত, বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পর রাজশাহী সিটিতে ইসলামী আন্দোলনের মেয়র প্রার্থী মুরশিদ আলম (হাতপাখা) নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা দেন। তবে নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা দিয়েও প্রাপ্ত ভোটের হিসাবে দ্বিতীয় হয়েছেন তিনি।