রাঙ্গামাটির মারী স্টেডিয়ামে মাসাস আয়োজিত দিন ব্যাপী সাংগ্রাই জল উৎস অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে চাকমা মারমা ত্রিপুরা তঞ্চঙ্গ্যা ও বাঙালীসহ সকল জাতি ধর্ম নির্বিশেষে মারমাদের জাতীয় পোশাক পরিধান করে অনুষ্ঠানে সমাবেত হয়েছেন এবং একসাথে জলখেলীতে আনন্দ উপভোগ করেছেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিদের কন্ঠে সম্প্রীতির বন্ধনের শ্লোগান প্রতি ধ্বনিত হয়েছে এক ও অভিন্নভাবে।
আজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন কুজেন্দ্র লাল এমপি, প্রতিমন্ত্রী পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন দীপংকর তালুকদার এমপি, সভাপতি পরিবেশ ও জলবায়ু সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি; গেটস অব অনার হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন বেগম ওয়াসিকা আয়েশা খান এমপি, প্রতিমন্ত্রী অর্থ মন্ত্রণালয়। সভাপতিত্ব করেন রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন পার্বত্য সংরক্ষিত আসনের জ্বরতী তঞ্চঙ্গ্যা এমপি, মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ ভাইস চেয়ারম্যান, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড; ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সোহেল আহম্মদ, ৩০৫পদাতিক ব্রিগেড ও রিজিয়ন কমান্ডার রাঙ্গামাটি; উপমহাপরিচালক সেক্টর কমান্ডার আনোয়ার লতিফ খান, রাঙ্গামাটি সেক্টর সদর দপ্তর বিজিবি; রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসক মোশারফ হোসেন খান, রাঙ্গামাটির পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ প্রমুখ।
জল উৎসবের ফিতা কাটেন বেগম ওয়াসিকা আয়েশা খান এমপি, সাথে রয়েছেন কুজেন্দ্রলাল এমপি, দীপংকর তালুকদার এমপি, জ্বরতী তঞ্চঙ্গ্যা এমপি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কুজেন্দ্রলাল এমপি বলেন জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সবখানে সম্প্রীতির বন্ধন তৈরী হয়েছে এবং উন্নয়ন সাধিত হচ্ছে। তিনি আরো বলেন বৈসাবিকে আমরা নানাভাবে আমরা উদযাপন করে থাকি। এখানে কেউ কেউ সামাজিক সাংস্কৃতিক উৎসব বলে থাকে। এটি ধর্মীয় উৎসবও বটে।
উদ্বোধক দীপংকর তালুকদার এমপি বলেন ধর্ম যার যার উৎসব সবার। আওয়ার কালচার আওয়ার আইডেন্টিটি সুরক্ষা রাখতে আপনাদেরকেই এগিয়ে আসবে হবে। জননেত্রী শেখহাসিনা সব সময় আপনাদের পাশে রয়েছেন, যে বিশেষ বিবেচনায় শুধু মাত্র পার্বত্য বাসিদের জন্য প্রযোজ্য। এটা কেন? আমরা যেন সবদিক দিয়ে সমতলবাসির মত এগিয়ে যেতে পারি।
বিশ্ববিদ্যালয় বা মেডিকেল পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের মাঝে বৃত্তির চেক বিতরণ করা হয়। বক্তব্য শেষে জল উৎসব উদ্বোধন করেন এবং সেখানে অতিথিরা একে অপরকে জল ছিটান। শেষে মঞ্চে বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক ডিসপ্লে প্রদান করা হয় নানা জাতি গোষ্ঠীর শিল্পীদের নৃত্য প্রদর্শনের মাধ্যমে।
অনুষ্ঠানে নৃত্য ও সংগীত পরিবেশন করেন রাঙ্গামাটি খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান হতে আগত হাজার হাজার দর্শকদের মাতিয়েছেন আমন্ত্রিত শিল্পীরা। সারাদিন ব্যাপী অনুষ্ঠানটি বিভিন্ন দলে দলে জলখেলী অনুষ্ঠিত ও মাঠে দলবদ্ধভাবে নৃত্য পরিবেশন করেন জলখেলী শিল্পীরা।
সবার জন্য মঙ্গল বয়ে আনুক এই প্রত্যাশা নিয়ে সন্ধ্যা৬টায় অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি করা হয়।