রপ্তানি আয় বেড়েই চলেছে

0
12
চট্টগ্রাম বন্দর

বৈশ্বিক সমস্যার কারণে পণ্য রপ্তানিতে গত দুই বছরে বেশ ভুগেছে বাংলাদেশ। বিদায়ী বছরে আবার দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে পণ্য রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হয়েছে। শ্রমিক অসন্তোষও ভুগিয়েছে কয়েক মাস। গ্যাস সংকট চরমে। নতুন করে গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির সরকারি পদক্ষেপে শিল্পোদ্যোক্তা শঙ্কিত। এরকম আরও কিছু চ্যালেঞ্জের মধ্যেই টানা ছয় মাস পণ্য রপ্তানি বাড়ছে।

ফেব্রুয়ারিতে রপ্তানি বেড়েছে গত বছরের একই মাসের চেয়ে ৩ শতাংশ। অন্যদিকে এ অর্থ বছরের জুলাই থেকে থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অর্থবচরের প্রথম সাত মাসে রপ্তানি বেড়েছে ১১ শতাংশের মত।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সোমবার প্রকাশিত হালনাগাদ এ তথ্য–উপাত্ত বলছে, ফেব্রুয়ারিতে পণ্য রপ্তানি থেকে আয় এসেছে ৩৯৭ কোটি ডলার। সাধারণত, প্রতি মাসে যে পরিমাণ রপ্তানি আয় আসে ফেব্রুয়ারিতে তার চেয়ে কম হয়ে থাকে।

কারণ, ২৮ দিনে মাস পূর্ণ হওয়ায় অন্তত দুই দিন উৎপাদন এবং রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকে। ৩১ দিনের মাসের হিসাব আমলে নিলে উৎপাদন কম হয় ৩ দিন। সাধারণত, গড়ে ৪৫০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়ে থাকে প্রতি মাসে। সে হিসেবে দিনে ১৫ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়ে থাকে। এ হিসেবে ৩০ দিনের মাসের চেয়ে ফেব্রুয়ারি মাসে অন্তত ৩০ কোটি ডলারের পণ্য কম রপ্তানি হয়েছে। এ ছাড়া কিছু কারখানার উৎপাদন ও রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। তার প্রভাবও পড়েছে রপ্তানি চিত্রে।

ফেব্রুয়ারিতে কিছু কম রপ্তানি সত্বেও অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে রপ্তানি বেড়েছে আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১০ দশমিক ৫৩ শতাংশ। মোট পরিমাণ দাঁড়িয়েছে তিন হাজার ২৯৪ কোটি ডলার। যা আগে ছিল দুই  হাজার ৯৮১ কোটি ডলার। অর্থাৎ, আগের একই সময়ের চেয়ে গেল সাত মাসে রপ্তানি বেড়েছে ৩১৩ কোটি ডলার।

ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রথম আট মাসে তৈরি পোশাক খাতে রপ্তানি আয়ে বরাবরের মতোই ভালো প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। এ ছাড়া উল্লেখযোগ্য খাতের মধ্যে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, কৃষিপণ্য, হোম টেক্সটাইল, হিমায়িত মাছ ও প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি বেড়েছে।

চলতি অর্থবছরে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ বিলিয়ন ডলার, যা গত অর্থবছরের তুলনায় ১২.৪৪ শতাংশ বেশি।

 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.