যৌন হয়রানি ও মানসিক নিপীড়নের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. নাদির জুনাইদকে সকল প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ মে) সন্ধ্যায় ঢাবির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারনী ফোরাম সিন্ডিকেট বৈঠকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি।
জানা গেছে, তদন্তে সত্যতা পাওয়ায় বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ সেলে অধিকতর তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এই তদন্ত চলাকালীন সময় পর্যন্ত অধ্যাপক নাদিরকে সকল একাডেমিক ও প্রশাসনিক কাজ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
এদিকে সোমবার সকালে প্রেস ব্রিফিং করে বিভাগটির শিক্ষার্থীরা অধ্যাপক নাদিরের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের তদন্তের অগ্রগতি জানাতে বিশ্ববিদ্যালয়কে তিন দিনের আলটিমেটাম দেয়।
শিক্ষার্থীরা বলেন, দুই সপ্তাহ সময় বেঁধে দিলেও আজকে দুই মাস হতে চলেছে, যা অযৌক্তিক। এখনও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় ন্যায়বিচার না পাওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা। বিশ্ববিদালয় প্রশাসন বিষয়টিকে ধামাচাপা দিয়ে ভুক্তভোগী নারী শিক্ষার্থীকে যথাযথ বিচার থেকে বঞ্চিত করার চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ আসে সংবাদ সম্মেলন থেকে। এমনকি বিষয়টি নিয়ে আলোচনা কমে গেলে লঘু দণ্ড দিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে বাঁচিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা করা হচ্ছে বলেও মনে করছেন তারা।
এর আগে গত ৭ ফেব্রুয়ারি অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কম নম্বর দেওয়ার অভিযোগ তুলে উপাচার্যের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের একটি ব্যাচের ২৮ শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে পরীক্ষার ফল খারাপ করিয়ে দিয়েছেন এই শিক্ষক।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি ও যৌন হয়রানির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তিন সদস্য বিশিষ্ট ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করে দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেন।