পারস্পারিক যোগসাজশের মাধ্যমে ২০২২ সালে অস্বাভাবিকভাবে ডিমের দাম বাড়ানোর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ডায়মন্ড এগ ও সিপি বাংলাদেশকে সাড়ে তিন কোটি টাকা জরিমানা করেছে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন (বিসিসি)। এর মধ্যে ডায়মন্ড এগকে আড়াই কোটি টাকা এবং সিপি বাংলাদেশকে জরিমানা করা হয়েছে এক কোটি টাকা। প্রতিযোগিতা আইন ২০১২ (২০১২ সনের ২৩ নং আইন) এর ধারা ১৫ এর উপধারা (২) এর দফা (ক) এর উপ-দফা (অ) এবং দফা (খ) এর লঙ্ঘন প্রমাণিত হওয়ায় এ জরিমানা করা হয়।
বুধবার এ মামলার রায় প্রকাশ হয়। এর আগে গত সোমবার এ বিষয়ে চূড়ান্ত আদেশ দেয় প্রতিযোগিতা কমিশন। আদেশের কপি সংস্থাটির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। তবে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান দুটির দাবি তাদের স্বপরে কোনো যুক্তি তর্ক আমলে নেয়নি প্রতিযোগিতা কমিশন।
বাজারে কারসাজির মাধ্যমে ডিমের দাম বাড়ানোর অভিযোগে ২০২২ সালে দেশের ১০টি পোল্ট্রি ফার্ম ও পোল্ট্রি সংশ্লিষ্ট সংগঠনের বিরুদ্ধে স্বপ্রণেদিত হয়ে মামলা করে বিসিসি।
বিসিসি জানিয়েছে, ডায়মন্ড এগ ও সিপি বাংলাদেশ অন্যান্য কোম্পানি সঙ্গে যোগসাজশে ২০২২ সালের আগস্ট মাসে ডিমের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়িয়েছিল। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠান দুটির বিরুদ্ধে করা পৃথক দুই মামলার শুনানি শেশে নিষ্পত্তি করে এই জরিমানা করা হয়। আদেশের ৩০ দিনের মধ্যে জরিমানার অর্থ জমা না দিলে পরবর্তী প্রতিদিনের জন্য অতিরিক্ত আরও এক লাখ টাকা করে জরিমানা পরিশোধ করতে হবে।
তবে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান দুটির দাবি প্রতিযোগিতা কমিশন তাদের যুক্তি তর্ক আমলে নেয়নি। এ ব্যাপারে ডায়মন্ড এগের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাইসার আহমেদ সমকালকে বলেন, ‘আমরা এখনও রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি হাতে পাইনি। রায়ের কপি পেলে তা পর্যবেণ পরবর্তী করণীয় ঠিক করব।’
সিপি বাংলাদেশের মহাব্যবস্থাপক আকরাম হোসেন বলেন, ‘রায়ের কপি পেলে আইনজীবীর মাধ্যমে কোম্পানি পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে। এর বেশি আমি জানি না।’
এর আগে, ২০২৩ সালের অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহে কাজী ফার্মসকে পাঁচ কোটি টাকা এবং সুগুনা ফুড অ্যান্ড ফিডস বাংলাদেশকে ৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছিল। যদিও পরবর্তীতে কাজী ফার্মস এবং সুগুনা ফুড অ্যান্ড ফিডস এই আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়।
এই দুই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করার তিন মাসেরও বেশি সময় পর নতুন করে আরও দুটি প্রতিষ্ঠাকে জরিমানার আওতায় আনল বিসিসি।