যেসব সুযোগ-সুবিধা পাবেন সংস্কার কমিশনের সদস্যরা

0
41
সংবিধান সংস্কার কমিশন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, পুলিশ সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন, দুদক সংস্কার কমিশন ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন।

রাস্ট্র সংস্কারে ইতোমধ্যে ৬টি কমিশন গঠন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। প্রত্যেকটি কমিশনে একজন প্রধানসহ বেশ কয়েকজন সদস্য রয়েছেন। এই কমিশনগুলোর সদস্যরা কী কী সুযোগ-সুবিধা পাবেন তা নিয়ে বুধবার (৯ অক্টোবর) প্রজ্ঞাপন আকারে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এই ৬ সংস্কার কমিশন প্রধানরা সুপ্রিমকোর্টের আপীল বিভাগের বিচারপতির সমান মর্যাদা, বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা পাবেন। তাছাড়া, কমিশনের সদস্যদের মধ্যে যারা প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োজিত নয় তারা সভাপ্রতি ১০ হাজার টাকা এবং প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োজিতরা সভাপ্রতি ৫ হাজার টাকা সম্মানি পাবেন।

প্রজ্ঞাপনে আরো বলা হয়, কমিশনের প্রধান বা কোন সদস্য বেতন ছাড়া দায়িত্ব পালন করিতে চাইলে বা সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করিতে না চাইলে প্রধান উপদেষ্টা তা অনুমোদন করতে পারবেন। এটি অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।

প্রসঙ্গত, রাস্ট্র সংস্কারে করা কমিশনগুলো হলো, সংবিধান সংস্কার কমিশন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, পুলিশ সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন, দুদক সংস্কার কমিশন ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন।

সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে রয়েছেন অধ্যাপক আলী রীয়াজ। কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন অধ্যাপক সুমাইয়া খায়ের, ইমরান সিদ্দিকী, অধ্যাপক মুহাম্মদ ইকরামুল হক, অ্যাডভোকেট ড. শরীফ ভূঁইয়া, এম মঈন আলম ফিরোজী, লেখক ফিরোজ আহমেদ, মানবাধিকারকর্মী মো. মুস্তাইন বিল্লাহ ও শিক্ষার্থী প্রতিনিধি মো. মাহফুজ আলম।

নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে রয়েছেন, সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার। এছাড়া এই কমিশনের সদস্য হিসেবে রয়েছেন, শিক্ষাবিদ এবং স্থানীয় সরকার ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ, নির্বাচন কমিশনের সাবেক অতিরিক্ত সচিব জেসমিন টুলী, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ড. মো: আব্দুল আলীম ও রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ ডা. জাহেদ উর রহমান, শাসন প্রক্রিয়া ও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার বিশেষজ্ঞ মীর নাদিয়া নিভিন, ইলেকট্রনিক ভোটিং ও ব্লকচেইন বিশেষজ্ঞ মোহাম্মদ সাদেক ফেরদৌস ও শিক্ষার্থী প্রতিনিধি।

আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমানের নেতৃত্বে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনে রয়েছেন, হাইকোর্টের সাবেক বিচারপতি এমদাদুল হক, হাইকোর্টের সাবেক অতিরিক্ত বিচারপতি ফরিদ আহমেদ শিবলী, সুপ্রীমকোর্টের সাবেক রেজিস্ট্রার সাইয়েদ আমিনুল ইসলাম, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ এবং মাজদার হোসেন বনাম রাষ্ট্র মামলার বাদী মাজদার হোসেন, সিনিয়র আইনজীবী তানিম হোসেন শাওন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাজী মাহফুজুল হক (সুপন) ও শিক্ষার্থী প্রতিনিধি।

দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনে প্রধান হিসেবে রয়েছেন, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। এই কমিশনে সদস্য হিসেবে রয়েছেন, সাবেক কম্পট্রোলার ও অডিটর জেনারেল মাসুদ আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক মোবাশ্বের মোনেম, ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের সোয়াস অধ্যাপক মোস্তাক খান, ব্যারিস্টার মাহদীন চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ফারজানা শারমিন ও শিক্ষার্থী প্রতিনিধি।

সাবেক সচিব সফর রাজ হোসেনের নেতৃত্বাধীন পুলিশ সংস্কার কমিশনের সদস্য হিসেবে রয়েছেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইকবাল, সাবেক বিভাগীয় কমিশনার ও যুগ্মসচিব মোহাম্মদ হারুন চৌধুরী, পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক শেখ সাজ্জাদ আলী, পুলিশের সাবেক ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল মো. গোলাম রসুল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক শাহনাজ হুদা, মানবাধিকার কর্মী এএসএম নাসিরউদ্দিন এলান ও শিক্ষার্থী প্রতিনিধি।

জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে রয়েছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চেয়্যারম্যান আব্দুল মুয়িদ চৌধুরী। তার কমিশনে সদস্য হিসেবে রয়েছেন, সাবেক সচিব ড. মোহাম্মদ তারেক, ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমান, সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো. হাফিজুর রহমান, ড. রিজওয়ান খায়ের, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের সাবেক সাবেক চেয়্যারম্যান একেএ ফিরোজ আহমেদ ও শিক্ষার্থী প্রতিনিধি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.