বাংলাদেশ দলের কোচ হিসেবে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করতে আজ রাতেই ঢাকায় আসছেন হাথুরুসিংহে। এর কয়েক ঘণ্টা আগে দেওয়া এক টেলিফোন সাক্ষাৎকারে অন্য আরও অনেক প্রসঙ্গের মধ্যে হাথুরুসিংহেকে ফিরিয়ে আনার পেছনে তিনটি কারণের কথাও বললেন নাজমুল হাসান। তাঁর জবানিতেই তুলে দিলে সেগুলো এ রকম—
কারণ নম্বর ১
হাথুরুসিংহে আমাদের সম্পর্কে জানে। আমাদের ছেলেদের চেনে। বিদেশি কোচ এলে বেশ কিছুদিন “এটা এমন কেন”, “ওটা এমন কেন”—এসব প্রশ্ন শুনতে শুনতে কান ঝালাপালা হয়ে যায়। হাথুরুর ক্ষেত্রে সেই সমস্যা নেই। ও আমাদের সম্পর্কে সব জানে। নতুন দুয়েকজন ছাড়া বাকি সব প্লেয়ারকেও খুব ভালোভাবে চেনে। ওর প্রথমবারে যে দুজন প্লেয়ারকে সবচেয়ে বেশি সুযোগ দিয়েছিল, তারা হলো লিটন ও সৌম্য। এর মধ্যে লিটন তো এখন দলে প্রতিষ্ঠিতই। সৌম্য অবশ্য কোথাও নেই। এর বাইরে ও হয়তো নতুন পাবে শান্ত (নাজমুল হোসেন), তৌহিদ হৃদয় আর জাকিরকে। বাকি সবাই তো ওর সময়েরই।’
কারণ নম্বর ২
আরেকটা বড় কারণ, হাথুরুকে পুরো সময় পাওয়া যাবে। আর যাঁরা ভালো কোচ আছেন, তাঁরা কেউই নিরবচ্ছিন্ন সময় দিতে পারবেন না। বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের জন্য তাঁদেরকে ছেড়ে দিতে হবে। এখন তো শুধু আইপিএল নয়, আইএল–এর (সংযুক্ত আরব আমিরাতের লিগ) সঙ্গেও অনেকে যুক্ত। আমাদের পছন্দের তালিকায় যাঁরা ছিলেন, তাঁদের অনেকেই আবার বর্তমান চাকুরিতে ২০২৪ পর্যন্ত চুক্তিবদ্ধ। ২০২৪ সালের আগে আসবেন না। কিন্তু আমাদের তো সামনেই বিশ্বকাপ।’
কারণ নম্বর ৩
প্লেয়ারদের অনেকের সঙ্গে কথা বলেছি। বিশেষ করে সিনিয়র প্লেয়ারদের সঙ্গে। আমি কয়েকজন কোচের একটা লিস্ট করেও ওদেরকে দেখিয়েছি। প্রায় সবাই হাথুরুসিংহের কথাই বলেছে। দুয়েকজন অবশ্য বলেছে “আপনি যা ভালো মনে করেন”। মাঝখানে আমাদের অবস্থা যখন বেশ খারাপ ছিল, তখন মাশরাফিও বলেছিল, “হাথুরুকে নিয়ে আসেন”, যা শুনে আমি একটু অবাকই হয়েছিলাম। আমি তো মনে করেছিলাম, হাথুরুর সঙ্গে ওর মনোমালিন্য আছে। তামিমও বলেছে, “হাথুরুসিংহেকে নিয়ে আসেন।”’
হাথুরুসিংহেকে ফিরিয়ে আনার এই তিনটি কারণের বাইরেও কোচ হিসেবে তাঁর কাজ করার ধরন, এই দফায় তাঁর কাজের সীমানা, দল নির্বাচনে ভূমিকা নিয়েও কথা বলেছেন নাজমুল হাসান। দল নির্বাচনে নিজের হস্তক্ষেপ নিয়ে প্রশ্নেরও খোলামেলা উত্তর দিয়েছেন বিসিবি সভাপতি।