গোবিন্দ এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমাকে পাওয়ার জন্য সুনীতা বাজি ধরে। তাঁর সেই আত্মীয় বলেছিল অসম্ভব। কিন্তু সে বলেছিল এটাকে সম্ভব করবে। পরে এক বছর আমার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ার জন্য লেগে থাকে। বিভিন্নভাবে চেষ্টা করে আমার মন পাওয়ার। সে ছিল সম্পর্কে আমার মামির বোন। হঠাৎ একদিন তাঁর হাতের স্পর্শে আমার কাছে মনে হয়, মেয়েটি আমার প্রেমে পড়েছে। ফলাফল সুনীতা কাজ হাসিল করে। সে সফল হয়।’
এর পর থেকে তাঁদের মধ্যে প্রেম হয়ে যায়। প্রথম সেই স্পর্শের ঘটনা ছিল মজার। সেদিন তাঁরা একটি মহরতে একসঙ্গে নেচেছিলেন। গোবিন্দ বলেন, ‘পরে আমরা একই গাড়িতে ছিলাম। গাড়ি চলছিল। হঠাৎ দেখি ওর হাতের স্পর্শ আমার হাতে। কিন্তু সে হাত একইভাবে রেখে দিয়েছে। হাত সরাচ্ছে না। সেদিন আমিও তাঁর হাত ধরি। সেই প্রথম আমাদের ভালোবাসা প্রকাশ পায়।’
প্রেমে পরার পড়ে তাঁরা একসঙ্গে ঘুরতে বের হতেন। কিন্তু সেই সময়ে সারাক্ষণ ভয়ে থাকতেন গোবিন্দ। তিনি সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘প্রথম যখন আমাদের প্রেম হয়, তখন আমার বয়স ছিল ২১ বছর। আর সুনীতার বয়স ছিল ১৪ কী ১৫। সে দেখতে অনেকটাই কিশোরীর মতো ছিল। আমার কাছে মনে হতো, প্রেম করার জন্য ও বয়সে এতটাই ছোট ছিল যে আমি ভয় পেতাম। কিন্তু ও আমাকে ভালোবাসত। ডেটিংয়ে যেতে চাইত। ওকে বোঝাতাম, “তুমি খুব ছোট। জানো, কী বলছ?” ও বলত, “হ্যাঁ, সব জানি। আমি তোমাকে ভালোবাসি।” কিন্তু ওর সঙ্গে প্রেম করলে কেউ যদি আমায় শিশু নিগ্রহকারী বলে? এটাই আমার ভয় ছিল।’
অবশেষে তাঁরা ১৯৮৭ সালের ১১ মার্চ বিয়ে করেন। গোবিন্দ তখন চব্বিশ, সুনীতা পড়েছেন আঠারোয়।