গত কয়েক বছর ধরে গোটা বিশ্বে ৪৫ বছরের কম বয়সীদের মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। অনেক বিশেষজ্ঞই এর জন্য করোনাজনিত জটিলতাকে দায়ী করছেন। এ বিষয়টি নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’র সঙ্গে কথা বলেছেন বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় হার্ট সার্জন এবং এশিয়ান হার্ট ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান ডা. রমাকান্ত পান্ডা।
তার মতে, কয়েক দশক আগের তুলনায় অল্প বয়সীদের মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পিছনে বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। এর মধ্যে শরীরচর্চার অভাব, মানসিক চাপ, প্রক্রিয়াজাত খাবার গ্রহণ, অতিরিক্ত মিষ্টি খাবার খাওয়া, ধূমপান, তামাক সেবন, দেরীতে ঘুমাতে যাওয়া, অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন পদ্ধতি, কম ঘুম উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও পরিবেশ দূষণ, জেনেটিক প্রবণতা, কম ফাইবার এবং উচ্চ কার্বোহাইড্রেটসম্পন্ন খাবার গ্রহণও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।
ডা. রমাকান্ত পান্ডার মতে, অল্পবয়সীরা ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হচ্ছেন অথচ তারা বুঝতে পারছেন না। অথচ এসব রোগ নীরবে তাদের হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। তিনি জানান, এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ কোনো উপসর্গ না থাকলেও,হৃদরোগজনিত জটিলতা হতে পারে। এ কারণে নিয়মিত হার্ট স্ক্রীনিং করা প্রয়োজন। বিশেষ করে কারও যদি পরিবারে হৃদরোগের ইতিহাস থাকে তাহলে অবশ্যই আগে থেকে সতর্ক হওয়া দরকার।
ডা. রমাকান্ত পান্ডার জানান, শরীরে এমন কিছু লক্ষণ আছে যা দেখা দিলে অবহেলা করা ঠিক নয়। যেমন-
বুকে ব্যথা,চাপ বা অস্বস্তি : কেউ যদি পরিশ্রমের সময় বুকে কোনও অস্বস্তি বা ব্যথা অনুভব করেন, তা হালকা বা গুরুতর যাই হোক না কেন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
শ্বাসকষ্ট: কারও যদি শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা হয়, বিশেষ করে শারীরিক কসরতের সময় এমন হলে বিষয়টি উপেক্ষা করা ঠিক নয়।
ঘাড়, চোয়াল, পেটের উপরের অংশে বা পিঠে ব্যথা: অন্যান্য উপসর্গের সঙ্গে যদি শরীরের এসব জায়গায় ব্যথা বা অস্বস্তি হয় তাহলে এটি হৃদরোগের ইঙ্গিত হতে পারে। এমন হলে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
হাতে ব্যথা বা অসাড়তা: মানসিক চাপ বোধ করলে যদি হাতে অস্বাভাবিক ব্যথা, অস্বস্তি বা অসাড়তা অনুভূত হয় তাহলেও সাবধান হতে হবে। এ ধরনের ব্যথাও হৃদরোগের ইঙ্গিত করে।