কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা নিয়াজ মোর্শেদ এলিটকে নিয়ে ‘অপপ্রচার’ মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া আবুল হাসনাত ওরফে হাবিব খানের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ রোববার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আবুল হাসনাতের বাড়ি চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে। তিনি স্থানীয় সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের মেঝ ছেলে মাহবুব রহমান রুহেলের ব্যক্তিগত সহকারী।
রোববার ভোর সাড়ে তিনটার দিকে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের লতিফিয়া গেটের স্বপ্না মঞ্জিল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।
সিটিটিসি ইউনিট সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালানোর অপরাধে রোববার ভোরে অভিযান চালিয়ে আবুল হাসনাত ওরফে হাবিব খানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার ঘটনা সংক্রান্ত জিজ্ঞাসাবাদ ও ঘটনার কাজে ব্যবহৃত ফেইক ফেসবুক আইডি উদ্ধার এবং এজাহারনামীয় সহযোগী আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য হাবিব খানের পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
জানা যায়, এলিটের বিরুদ্ধে আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালিয়ে আসছে। এর প্রেক্ষিতে গত ৩ আগস্ট যুবলীগ কর্মী মো. আছিফুর রহমান বাদী হয়ে চারজনের বিরুদ্ধে বনানী থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন।
মামলার বাকি আসামিরা হলেন— জাহাঙ্গীর হোসেন মাস্টার, মো. মাহফুজুল হক প্রকাশ লেবার জুনু এবং মো. আনিসুর রহমান প্রকাশ রিফাত। এর মধ্যে জাহাঙ্গীর হোসেন মাস্টার ও লেবার জুনুর বাড়ি চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ও আনিসুর রহমান রিফাতের বাড়ি চট্টগ্রামের জোরারগঞ্জে। তারা সবাই সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের অনুসারী বলে জানা গেছে।
এছাড়াও আবুল হাসনাত ওরফে হাবিব খান ও জাহাঙ্গীর হোসেন মাস্টারের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা ও ভাঙচুরের ঘটনায় মিরসরাই থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। জাহাঙ্গীর হোসেন ইউপি চেয়ারম্যান হওয়ায় এসব মামলায় তার বিরুদ্ধে তদন্ত করছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়।