সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে মো. ফয়সাল ইসলাম (২৮) নামে এক যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। প্রতিবেশীর ঘরের বারান্দা থেকে সোমবার তাঁর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ফয়সাল উপজেলার পান্ডারগাঁও ইউনিয়নের পলিরচর গ্রামের সমর আলীর ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত ফয়সাল ইসলামের স্ত্রী হালিমা আক্তার বেশ কিছুদিন ধরে সৌদি আরবে থাকেন। প্রবাসে থাকাকালীন ফয়সাল ইসলামের প্রতিবেশী রবিউল ইসলামের সঙ্গে হালিমার মোবাইলে কথাবার্তা হতো। একপর্যায়ে উভয়ের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ নিয়ে ফয়সাল ও রবিউলের মধ্যে বিভিন্ন সময় ঝগড়া-বিবাদ হয়। বিষয়টি নিয়ে গ্রাম্য পর্যায়ে ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াদুদ একাধিকবার সালিশ করেছেন। সোমবার সকালে রবিউল ইসলামের টিনশেড বসতঘরের বারান্দায় ফয়সালের গামছা পেঁচানো ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। স্থানীয়রা থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ফয়সালের লাশ উদ্ধার করে।
নিহত ফয়সাল আহমেদের মা আয়শা খাতুন জানান, তিনি সকালে ফজরের নামাজ শেষে ঘরের বাইরে যাওয়ার পর কয়েকজন জানায়, তাঁর ছেলে গলায় ফাঁস দিয়ে মারা গেছে। তিনি অভিযোগ করেন, তাঁর ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
দোয়ারাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদরুল হাসান বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।