যুব মহিলা লীগ নেত্রী ফাতেমা আনোয়ারকে দল থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে। তিনি যশোর সদর উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী। ফাতেমা আনোয়ার যশোর উপজেলা যুব মহিলা লীগের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
শনিবার (১৮ মে) বিকেলে যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সম্প্রতি নির্বাচন-সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় এক মন্তব্য করায় সংগঠনবিরোধী ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
তৃতীয় ধাপে আগামী ২৯ মে যশোর সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। ফাতেমা আনোয়ার ঘোড়া প্রতীক নিয়ে এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। গত ১৭ মে বৃহস্পতিবার যশোর প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে ফাতেমা আনোয়ার নির্বাচন-সংক্রান্ত এক মতবিনিময় করেন। ওই অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমার স্বামী জেলা ছাত্রদলের সাবেক নেতা এবং একই পরিবারের সদস্যরা তার পছন্দমতো রাজনৈতিক দলের কর্মী সমর্থক বা নেতা হতে পারেন। তা ছাড়া তিনি কয়েক দশক ধরে দেশের বাইরে।
এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিবার নিয়েও মন্তব্য করেন। এই বিষয়টি যশোর জেলা আওয়ামী লীগের দৃষ্টিগোচর হয়। এরপর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন এবং সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার তাকে যুব মহিলা লীগের আহ্বায়ক পদ ও প্রাথমিক সদস্যপদ বাতিলসহ সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জোর সুপারিশ করেন। যার প্রেক্ষিতে আজ বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সভাপতি ডেইজি সরোয়ার ও সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলি স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে ফাতেমা আনোয়ারকে যুব মহিলা লীগ থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়।
যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন ফাতেমা আনোয়ারের বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি বলেন, দলীয় প্রধান সম্পর্কে বাজে মন্তব্য করে তিনি দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন।