লেবাননের পূর্বাঞ্চলে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ছয়জন নিহত ও দুজন আহত হয়েছেন। ইসরায়েল আর হিজবুল্লাহর মধ্যে চলমান যুদ্ধবিরতির মধ্যেই এ হামলার ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার লেবাননের পূর্বাঞ্চলের বেক্কা অঞ্চলের জেন্নাতা শহরের কাছে শারা এলাকা লক্ষ্য করে ইসরায়েলি ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটে। দেশটির জাতীয় সংবাদ সংস্থার খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, হিজবুল্লাহর কৌশলগত অস্ত্রের উৎপাদন ও সংরক্ষণাগারকে এই হামলার লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ওই লক্ষ্যবস্তুতে যে ধরনের কর্মকাণ্ড চলছিল, তা ইসরায়েল আর লেবাননের মধ্যকার সমঝোতার স্পষ্ট লঙ্ঘন। দুই পক্ষের মধ্যে গত ২৭ নভেম্বর যুদ্ধবিরতি চুক্তি সই হয়। এই চুক্তির মাধ্যমে ইসরায়েল ও লেবাননের হিজবুল্লাহর মধ্যে সংঘাত বন্ধ হয়।
চুক্তি কার্যকরের পরও বিভিন্ন সময় লেবাননে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। ইসরায়েল বারবার দাবি করে এসেছে, তারা লেবাননে হিজবুল্লাহর স্থাপনায় হামলা চালাচ্ছে।
যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত মেনে হিজবুল্লাহ নিয়ন্ত্রিত লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীর পাশাপাশি দেশটির সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
লেবাননের পূর্বাঞ্চলের বেক্কা উপত্যকায় বেশ কয়েকটি হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির ওই এলাকায় হিজবুল্লাহর শক্তিশালী ঘাঁটি রয়েছে। গত ৩১ জানুয়ারি লেবানন-সিরিয়া সীমান্তে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত দুজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। ইসরায়েলি বাহিনী দাবি করে, তারা হিজবুল্লাহর একাধিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে।
ওই সময়ে বিমান হামলার সমালোচনা করে হিজবুল্লাহর কর্মকর্তা ইব্রাহিম মাউসাওয়ি বলেন, ‘এটা খুবই বিপজ্জনক লঙ্ঘন এবং ভয়ানক ও স্পষ্ট আগ্রাসন।’ তিনি লেবাননে ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত হামলা বন্ধের আহ্বান জানান।
আল জাজিরা