যুদ্ধবিরতির আগে প্রধান যেসব শর্ত দিলো ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী

0
21
ফিলিস্তিনি

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মিদের মুক্তি নিয়ে মিসরে অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় বসেছে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলের প্রতিনিধিরা। এতে নিজেদের প্রধান কিছু শর্ত জানিয়েছে সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। খবর আল জাজিরা।

মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) সংগঠনটির মুখপাত্র ফাওজি বারহোম বলেছেন, মিসরে আলোচনারত তাদের প্রতিনিধিরা ‘সব বাধা অতিক্রম’ করার চেষ্টা করছেন। তিনি বলেছেন যুদ্ধবিরতির জন্য নিজেদের প্রধান শর্ত তারা জানিয়ে দিয়েছেন। সেগুলো হলো—

একটি স্থায়ী এবং পূর্ণ যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে হবে।
ইসরায়েলি সেনাদের গাজার সব জায়গা থেকে প্রত্যাহার করে নিতে হবে।
কোনো ধরনের বাধা ছাড়া গাজায় ত্রাণ পৌঁছাতে দিতে হবে।
বাস্তুচ্যুত সাধারণ গাজাবাসীকে তাদের নিজ গৃহে ফিরে যেতে দিতে হবে।
গাজা পুনর্গঠনের কাজ শুরু করতে হবে। যেটির তত্ত্বাবধান করবে একটি ফিলিস্তিনি জাতীয় প্রশাসন।
আর বন্দি বিনিময়ের একটি ন্যায্য চুক্ত করতে হবে।

ফাওজি বারহোম অভিযোগ করেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা ‘আটকানো ও ব্যর্থ’ করে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। যেমনটা ‘ইচ্ছাকৃতভাবে’ তিনি আগে করেছিলেন।

তিনি বলেন, বর্বর সামরিক হামলা, গাজার মানুষকে নির্মূলের যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সীমাহীন সমর্থন সত্ত্বেও ইসরায়েল গাজায় জয়ের ভুয়া ভাবমূর্তি তৈরি করতে পারেনি, পারবেও না।

এ ছাড়া হামাস এই যুদ্ধবিরতিতে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি তুলে ধরেছে, সেটি হলো দীর্ঘদিন ধরে কারাবন্দি থাকা তাদের শীর্ষ নেতাদের মুক্তি। এর মধ্যে আছেন— মারওয়ান বারঘোতি, আহমেদ সাদাত, ইব্রাহিম হামেদ, হাসান সালেমেহ এবং আব্বাস সায়েদের মতো গুরুত্বপূর্ণ নেতারা। পূর্ববর্তী যুদ্ধবিরতিতে ইসরায়েল এসব নেতাকে মুক্তি দিতে অস্বীকৃতি জানায়। কিন্তু হামাস এবার স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, এই নেতাদের মুক্তির জন্য এটিই তাদের শেষ সুযোগ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.