মার্কিন নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের আশঙ্কা, হুয়াওয়ের মতো চীনা ব্র্যান্ডগুলোর তৈরি সরঞ্জাম পঞ্চম প্রজন্মের ওয়্যারলেস নেটওয়ার্কে ঢুকে পড়ে স্পর্শকাতর তথ্য সংগ্রহের জন্য ব্যবহার করা হতে পারে।
গতকাল এফসিসির উদ্যোগটির আওতায় হাইতেরা কমিউনিকেশনস, হাংঝু হিকভিশন ডিজিটাল টেকনোলজি কোম্পানি এবং দাহুয়া টেকনোলজি কোম্পানির ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ হবে।
এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানতে হুয়াওয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল রয়টার্স। তবে এ ব্যাপারে সাড়া পাওয়া যায়নি। জেডটিই, ডাহুয়া, হিকভিশন এবং হাইতেরার পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
হুয়াওয়ে এবং চীন সরকার দীর্ঘদিন ধরেই গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। চীনা প্রযুক্তির ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার নিন্দা জানিয়ে আসছে তারা।
তবে ২০১৯ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে সিকিউর অ্যান্ড ট্রাস্টেড কমিউনিকেশনস নেটওয়ার্কস অ্যাক্ট নামক আইনটি চালু হয়। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি তৈরি করতে পারে এমন যোগাযোগ সেবাগুলো শনাক্ত করতে আইনটি পাস হয়েছিল।
আইনের আওতায় যেসব যোগাযোগ সেবাকে হুমকি বলে শনাক্ত করা হয়েছিল সেগুলোর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সিকিউর ইকুইপমেন্ট অ্যাক্ট ২০২১-এ স্বাক্ষর করেন। এর আওতাতেই গতকালের উদ্যোগটি ঘোষণা করেছে এফসিসি।