মধ্যপ্রাচ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সময়ে গতকাল রোববার বিকেলে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
চলতি সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে নেতানিয়াহু বৈঠক করবেন। এ ছাড়া এই সফরে ট্রাম্প প্রশাসনের অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তার সঙ্গেও নেতানিয়াহুর বৈঠক করার কথা রয়েছে।
নেতানিয়াহুকে বহনকারী উড়োজাহাজটি যুক্তরাষ্ট্রে অবতরণের পর দেশটিতে নিযুক্ত ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত ড্যানি ড্যানন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি বিবৃতি দিয়েছেন। তিনি বলেন, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার গভীর সম্পর্ককে আরও জোরালো করতে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক (ট্রাম্প-নেতানিয়াহু) হতে যাচ্ছে। এই বৈঠকের মাধ্যমে পারস্পরিক সহযোগিতা আরও জোরদার হবে।
ইতিমধ্যে ট্রাম্প স্পষ্ট করে দিয়েছেন, তিনি মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ বন্ধ করতে চান।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালিয়েছিল গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। সেদিন থেকে গাজায় নির্বিচার হামলা শুরু করে ইসরায়েল। গাজায় ১৫ মাস ধরে এই যুদ্ধ চলে। ইসরায়েলি হামলায় গাজা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ৪৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত লাখো ফিলিস্তিনি। সম্প্রতি গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।
গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে উড়োজাহাজে ওঠার আগে নেতানিয়াহু বেশ কয়েকবার ‘শান্তির’ প্রসঙ্গ টানেন। তিনি বলেন, যুদ্ধে তাঁরা যেসব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তা ইতিমধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের চেহারা পাল্টে দিয়েছে। তিনি বিশ্বাস করেন, তাঁরা নিরাপত্তা জোরদার করতে পারবেন। শান্তির পরিসর আরও বিস্তৃত করতে পারবেন। শক্তির মাধ্যমে শান্তির একটি অসামান্য যুগ অর্জন করতে পারবেন।
ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর নেতানিয়াহু প্রথম কোনো বিদেশি নেতা হিসেবে তাঁর (ট্রাম্প) সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যুক্তরাষ্ট্রে গেলেন।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক বিষয় নিয়ে গঠনমূলক আলোচনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
গাজায় দ্বিতীয় ধাপের যুদ্ধবিরতির আলোচনা আজ সোমবার শুরু হওয়ার কথা। গত ১৯ জানুয়ারি প্রথম ধাপে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।
নিউইয়র্ক টাইমস