নিহত মিজানুর রহমানের বাবা আবদুর রব নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য। তিনি বলেন, তাঁর ছেলে দীর্ঘদিন সৌদি আরবে ছিলেন। ২০১৯ সালের প্রথম দিকে দেশে ফিরে আসেন। এর পর থেকে দেশেই ছিলেন। ধারদেনা করে প্রায় ১৬ লাখ টাকা খরচ করে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাজ্যে যান মিজান।
আবদুর রব বলেন, গত শনিবার রাতে কাজ শেষে নিজ বাসায় এসে অন্যদের সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত ১২টার দিকে বাসায় থাকা একটি মোটরসাইকেলের ব্যাটারি বিস্ফোরিত হয়। ব্যাটারির আগুন ছড়িয়ে বাসায় থাকা গ্যাস সিলিন্ডারে লাগলে সেটিও বিস্ফোরিত হয়ে পুরো বাসায় আগুন লেগে যায়। এতে ঘরে থাকা তাঁর ছেলে মিজানসহ ২৪ জন অগ্নিদগ্ধ হন। পরে আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে লন্ডনের রয়্যাল হসপিটালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে মিজানের মৃত্যু হয়।
পারিবারিক সূত্র জানায়, তিন ভাই ও তিন বোনের মধ্যে মিজান ছিলেন দ্বিতীয়। এক ছেলে ও এক মেয়ের বাবা তিনি। নিহত মিজানুরের লাশ দ্রুত সময়ের মধ্যে দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন তাঁর বাবা আবদুর রব।