যশোরে বাঁশের লাঠিতে পতাকা বেঁধে সমাবেশে হাজির হচ্ছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। ফলে সমাবেশ ঘিরে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর অবস্থানে রয়েছে।
‘উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অধীনস্থ আদালত এবং সরকারের অবজ্ঞা, গায়েবি মামলায় গ্রেপ্তার, পুলিশি হয়রানি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, লোডশেডিং, দুর্নীতির প্রতিবাদ’ এবং ১০ দফা দাবিতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে যশোরে শনিবার দুপুর ২টায় সমাবেশের আয়োজন করেছে জেলা বিএনপি। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুক্রবার মৌখিকভাবে শহরের ভোলা ট্যাংক রোডে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এদিকে আজ শহরের টাউন হল মাঠে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ-সমর্থিত একটি শ্রমিক সংগঠনকে সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে প্রশাসন।
সকাল ১০টা থেকে বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়ন থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশে যোগ দিতে দেখা গেছে বিএনপির নেতাকর্মীদের। এ সময় নেতাকর্মীদের লাঠিতে পতাকা বেঁধে সমাবেশে যোগ দিতে দেখা গেছে।
সদরের চুড়ামনকাটি থেকে সমাবেশের যোগ দেওয়া নেতাকর্মীরা জানান, কয়েকদিন ধরে যশোর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিএনপির সমাবেশ প্রতিহত করার ঘোষণা দিচ্ছেন। আমরাও তাদের প্রতিহত করতে বাঁশের লাঠি নিয়ে এসেছি।
জেলা বিএনপির সদস্যসচিব সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু বলেন, সমাবেশের তারিখ ঘোষণার পর থেকে পুলিশ নেতাকর্মীদের গণগ্রেপ্তার শুরু করে। এর মধ্যেও আমরা সব প্রস্তুতি নিয়েছি। পুলিশ একদিন আগে মৌখিকভাবে সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে। সকাল থেকে নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে সমাবেশে যোগ দিচ্ছেন।
তিনি অভিযোগ করেন, সরকার দলীয় নেতাকর্মীরা বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকিও দিচ্ছেন।
বাঁশের লাঠি নিয়ে নেতাকর্মীদের সমাবেশে যোগ দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, কিছু নেতাকর্মী বাঁশের লাঠিতে পতাকা বেঁধে মিছিল নিয়ে সমাবেশে আসেন। তাদের নিষেধ করা হয়েছে। পরে তারা লাঠি ফেলে দিয়েছেন।
যশোর জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) বেলাল হোসেন বলেন, একই দিনে দুটি সমাবেশ হলেও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার শঙ্কা নেই। বিএনপির কিছু নেতাকর্মী লাঠি নিয়ে আসলেও পরে তারা তা ফেলে দিয়েছেন। নাশকতা ও বিশৃঙ্খলা এড়াতে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। কাউকে সন্দেহ হলে তল্লাশি করা হচ্ছে।